সাভারে মোবাইল চুরি নিয়ে ২ পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ, নিহত ১

ঢাকার সাভারের আড়াপাড়া এলাকায় মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনায় ২ পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
dead body
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঢাকার সাভারের আড়াপাড়া এলাকায় মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনায় ২ পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।

গতকাল রাতে সংঘর্ষের শুরু হলেও সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহত আকাশ মৃধা কুষ্টিয়ার কুমারখালি থানার ভালুকাপাড়া এলাকার আব্দুল হালিম মৃধার ছেলে। তিনি বাবা-মাকে নিয়ে আড়াপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন এবং বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

স্থানীয়রা জানান, গতরাতে আড়াপাড়া এলাকায় পপি নামে এক নারীর বাসায় ডিজে পার্টির আয়োজন করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। সেখানে একটি মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনা ঘটে। মোবাইলটি ছিল স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলের। জাহাঙ্গীর মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে ২ যুবককে মারধর করেন। সেসময় উপস্থিত যুবকদের মধ্যে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয় এবং তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তারা সটকে পড়েন। তবে সকাল থেকেই উভয় পক্ষ আবারও ছুরি, দা ও লাঠি নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজনই আহত হয়। 

রেখা রানী নিজেকে নিহত আকাশের বন্ধুর মা দাবি করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডিজে পার্টিতে নয়ন ও প্রান্ত নামে ২ যুবককে মোবাইল চুরির অজুহাতে মারধর করেন জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী। পরবর্তীতে সেখানে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয় এবং ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সবাই চলে যায়। সকালে জাহাঙ্গীরের শ্যালক মামুনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন যুবক আমার ছেলেকে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করে আকাশ। পরে তারা আকাশকে কুপিয়ে মেরে ফেলে।'
 
'জাহাঙ্গীর স্থানীয় কাউন্সিলর রমজান হোসেনের লোক। তারা এখন আমার ২ মেয়েকে আটকে রেখেছে', বলেন তিনি।
 
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার ছেলের মোবাইল চুরির প্রতিবাদ করায় শ্যালক মামুন ও তার ২ বন্ধুকে কুপিয়ে আহত করেছে। ওদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।' 

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আকাশ নামে একজন নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।' 

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

Comments