২ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর: আরও ৫ দিন সময় পেল তদন্ত কমিটি

শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরও ৫ দিন সময় পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরও ৫ দিন সময় পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি।

আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত শনিবারের ওই নির্যাতনের ঘটনায় রোববার ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ২ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

গতকাল মঙ্গলবার কমিটির সদস্যরা তদন্ত শেষ করতে আরও ৫ দিন সময় চায়।

আজ ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তাদের ৫ দিন সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন উল্লেখ করে উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, 'কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সময় বাড়ানো হয়েছে। আমরা আশা করি এই সময়ের মধ্যে কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে কমিশনারের কাছে রিপোর্ট দিতে পারবে।'

তিনি আরও বলেন, 'ওই রিপোর্টের আলোকে যারা ওই ঘটনার জন্য দায়ী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হবে।'

ডিসি ফারুক বলেন, 'গত শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের ৩ নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডিএমপি একজন ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।'

'পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে, ওই ঘটনায় এডিসি হারুন ছাড়াও পুলিশের যেসব সদস্য সেদিন থানায় ছিল, তাদের কী ভূমিকা ছিল বা ঘটনা যেখান থেকে শুরু বারডেম হাসপাতাল, সেখানে কারা কারা ছিল, তদন্তে সব পূর্ণাঙ্গভাবে আসার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন। এ কারণে তদন্ত কমিটি ৫ দিন বেশি সময় চেয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

ওই মারধরের ঘটনায় ইতোমধ্যে অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশীদকে বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগের ২ নেতা হলেন-কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।

ছাত্রলীগের এক নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এডিসি হারুন ও একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা বারডেম হাসপাতালে গল্প করছিলেন। তখন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী পরিচয়ে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতাকে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেখানে যান। একপর্যায়ে সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে ওই প্রশাসন কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।'

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, 'এক পর্যায়ে হারুন পুলিশ সদস্যদের ডেকে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা পুলিশ তাদের ওপর নির্যাতন চালায়।'

খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম মাকসুদুর রহমান থানায় ছুটে যান এবং আলোচনার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।    

 

Comments