সরিষাবাড়ী

পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু: পরিবারের দাবি হত্যা, পুলিশ বলছে স্ট্রোক

জামালপুর

জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানা হাজতে আসামির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তোলা হলেও পুলিশ বলছে, স্ট্রোক করে তিনি মারা গেছেন।

মারা যাওয়া আনোয়ার সরিষাবাড়ীর ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা গ্রামের আব্দুস সামাদ দুলুর ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, পেশায় কৃষক আনোয়ার হোসেন সরিষাবাড়ী থানার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে তার গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে নেয় পুলিশ। মধ্যরাতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেদি হাসান জানান, আনোয়ার হোসেনকে হাসপাতালে আনার পর অক্সিজেন দেওয়া হয় এবং ইসিজি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাকে জীবিত পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইন-চার্জ মুশফিকুর রহমানের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি দাবি করেন, থানায় আনার পর আনোয়ার অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

পুলিশের এই ভাষ্যের বিরোধিতা করে আনোয়ারের বাবা আব্দুস সামাদ ধুলু অভিযোগ করেন, মারামারির মামলায় তার ছেলে আসামি ছিল। মামলার বাদীর যোগসাজশে পুলিশ নির্যাতন করায় তার ছেলে মারা গেছে।

আনোয়ারের স্ত্রী আলপনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সুস্থ মানুষটাকে ধরে নিয়ে গেছে। থানার নেওয়ার পর সর্বশেষ সন্ধ্যায় তার সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তখনও তিনি ভালো ছিলেন। রাত ১২টায় খবর আসে স্বামী স্ট্রোক করেছে।

বোন নুরজাহান বেগম অভিযোগ করেন, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে, তাই তিনি মারা গেছেন।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শহিদুর রহমান জানান, গত ১০ ডিসেম্বর চাপারকোনা বাজারে দোলভিটি গ্রামের ফিরোজ মিয়ার সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের মারামারি হয়। এ ঘটনায় ফিরোজের ভাই সোহেল রানা ২৫ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেন। আনোয়ার এই মামলায় আসামি ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, রাত ১২টার দিকে তিনি স্ট্রোক করেন।

হত্যার অভিযোগটি সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, আনোয়ারকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় পরিবারের লোকজন সঙ্গেই ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

At least 16 killed as Pakistan-India tensions intensify

8 killed in Pakistan, 3 killed in Indian Kashmir in shelling from both sides

6h ago