ডিসি অফিসের সামনে কার্টনভর্তি ৪২ লাখ টাকা, সার্ভেয়ার গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে ৪২ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ওই কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করা হলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ১০ জানুয়ারি রাতে ডিসি অফিসের সামনে থেকে কার্টনভর্তি ৪২ লাখ উদ্ধারের ঘটনায় দুদকের করা মামলায় কাওসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ১০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ডিসি অফিসের সামনে থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সাবেক আউটসোর্সিং কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম সুমনকে একটি কার্টনসহ আটক করে নিরাপত্তা কর্মীরা।
পরে, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের নির্দেশে ওই কার্টন খুলে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে টাকাগুলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কোষাগারে জমা রাখা হয়।
জব্দ ৪২ লাখ টাকার সঙ্গে দুর্নীতির সম্পৃক্ততা আছে ধারণা করে ১৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দেন। ১৬ জানুয়ারি দুদক জেলা কার্যালয়ে মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় একটি মামলা করে।
মামলায় জাহিদুল ইসলাম সুমন ও কাওসার আহমেদকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় আজ দুপুরে দুদকের অভিযানে কাওসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামি জাহিদুল পলাতক আছেন।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল কার্টনভর্তি টাকা এক ব্যবসায়ীর বলে দাবি করেছিলেন। পরে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই টাকা তার নয়। সার্ভেয়ার কাওসার ওই ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করেছিলেন যেন ওই টাকা নিজের বলে দাবি করেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে আমি দুদকে চিঠি দেই। দুদকও দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।'
'সে সময় জাহিদুলের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অভিযোগ না থাকায়, তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করার কোনো সুযোগ ছিল না। এখন যেহেতু মামলা হয়েছে তিনি অবশ্যই গ্রেপ্তার হবেন', যোগ করেন ডিসি।
সার্ভেয়ার কাওসারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক।
Comments