বন্দিদের নির্বিচারে লোহার বেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
বন্দিদের নির্বিচারে লোহার বেড়ি পরানো যাবে না, বলেছেন হাইকোর্ট।
কারা কর্তৃপক্ষকে ২০২২ সালের নভেম্বরে কারা অধিদপ্তরের জারি করা সার্কুলার যেখানে জঙ্গিসহ কুখ্যাত অপরাধীদের আদালতে হাজির করা বা তাদের নিরাপত্তার জন্য কোথাও স্থানান্তর করার সময় ছাড়া বন্দিদের লোহার বেড়ি পরানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল তা কঠোরভাবে মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পটুয়াখালীর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি) নেতা মো. নাজমুল মৃধাকে তার বাবার জানাজা নামাজে অংশ নেওয়ার সময় কেন লোহার বেড়ি পরানো হয়েছিল তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রুল জারি করেছেন। সেইসঙ্গে বেড়ি পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নাজমুলের দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাবার জানাজার নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য ১৩ জানুয়ারি দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে কারাগার থেকে মুক্তির নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালত।
১২ জানুয়ারি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা মো. মোতালেব হোসেন মৃধা মারা যান।
১৩ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে মির্জাগঞ্জের সুবিদ আলী গ্রামে জানাজার নামাজে অংশ নেওয়ার সময় পুলিশ নাজমুলের হাত থেকে হাতকড়া খুলে দিলেও তাকে লোহার বেড়িতে আটকে রাখে। জানাজা শেষে নাজমুলকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম আজাদ।
Comments