৯ কোটি টাকা বকেয়া ঋণ, পটুয়াখালী মহিলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

জাকিয়া সুলতানা বেবি। ছবি: সংগৃহীত

সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ বকেয়া থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ব্যাংকের করা মামলায় আজ বুধবার দুপুরে শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। অর্থঋণ আদালতে করা ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।

পটুয়াখালী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, জাকিয়া সুলতানা বেবি ও তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম খান ১৯৮৫ সালে সোনালী ব্যাংক পটুয়াখালী শাখা থেকে ২ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ওই টাকার বিপরীতে বন্ধকি হিসেবে তারা জমা দেন বরিশাল রূপাতলী এলাকার জমির দলিল।

৩৯ বছর আগে নেওয়া ওই ঋণ আদায়ে ব্যাংক থেকে কয়েকবার সম্পূর্ণ সুদ মওকুফের সুবিধা দেওয়া হলেও কোনো টাকাই পরিশোধ করেননি তারা। 

টাকা আদায়ের জন্য ১৯৯৪ সালে, ২০১১ ও ২০২২ সালে শতভাগ সুদ মওকুফের অনুমোদন দেয় ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ। 

কিন্তু, টাকা পরিশোধ না করায় সবশেষ তাদের ৬ বছরে ৭২ কিস্তিতে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। সুদ-আসলে বর্তমানে ওই টাকার আদায়যোগ্য পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায়। 

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জাকিয়ার স্বামী সিরাজুলকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করে ২০০৪ সালে পটুয়াখালী অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। মামলা চলমান অবস্থায় সিরাজুল মারা গেলে জাকিয়া সুলতানাকে ঋণ খেলাপির মামলার মূল বিবাদী হিসেবে গণ্য করা হয়।

ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ২০২৩ সালের ২৯ মে পটুয়াখালী প্রথম যুগ্ম-জজ আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবির জাকিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

জাকিয়া সুলতানা বেবির গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন বলেন, 'এটা তার ব্যক্তিগত দায়। যেহেতু তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, সেহেতু দলের জরুরি সভা ডেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' 

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

6h ago