শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও ২ হত্যা মামলা

শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মিরপুর-১০ ও শেরেবাংলা নগর এলাকায় দুইজন নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এর মধ্যে, গত ৪ আগস্ট মিরপুর আইডিয়াল স্কুলের সামনে যুবদল নেতা আবদুল্লাহ কবির খান (৫০) নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৬৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

নিহত কবির খানের স্ত্রী আফসানা আক্তার ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে এ মামলা করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

আজ সোমবার শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, শেরেবাংলা নগর থানার সামনে কাঠমিস্ত্রি তারেক হোসেন (১৮) হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তারেকের মা ফিদুসী খাতুন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে এ মামলা করেন।

অপর আসামিরা হলেন-ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার ও মইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে শেরেবাংলা নগর থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন তারেক। এরপরই তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ৯ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।

শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

8h ago