গাজীপুরে হাসিনাসহ মোজাম্মেল, রাসেল ও জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

আরিফ বেপারীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আরিফ বেপারীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান রাসেল ও জাহাঙ্গীর আলমসহ আওয়ামী লীগের ১৭১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই থানায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিহত আরিফের বাবা রজ্জব আলী গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি এবং ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।'

মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তার ছেলে আরিফ বেপারীকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মামলায় হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতিসহ ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরদিকে, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, কাশিমপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে। এতে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন কাশিমপুরের লতিফপুর এলাকার আমিনুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল রানা।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান তুলা।

মামলার বাদী সোহেল রানা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি একটি কোম্পানির সেলসম্যান। গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে কাশিমপুর থানার চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ডে সড়কের ওপর অবস্থান করছিলেন। সেসময় আ ক ম মোজাম্মেল হকের নির্দেশে আসামিরা ও অজ্ঞাত ২০০-৩০০ সন্ত্রাসী বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা ও আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে থাকে। এসময় একটি গুলি তার ডান পায়ে হাঁটুর নিচে লেগে বের হয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

Comments