‘থানা ভাঙছি’ আবেগে বলে ফেলেছিলাম: কুষ্টিয়ার সেই যুবদল নেতা মাজেদ

গত ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদ দাবি করেছেন, তার নেতৃত্বে কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙচুর করার বক্তব্য তিনি ভুলবশত আবেগে দিয়েছিলেন।

আজ সোমবার কুষ্টিয়া সদর থানার কবুরহাটে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

যদিও, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাজেদের এক মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপে এই যুবদল নেতাকে বলতে শোনা যায়, 'কুষ্টিয়ায় লাস্টের দিন, যেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়; সর্ব প্রথম কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি।'

এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা শুরু হলে মাজেদ আজ সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, ভুলবশত তিনি ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশ করে মাজেদ বলেন, 'থানা ভাঙচুরের ভিডিও ফুটেজ যাচাই করলেও আমাকে পাওয়া যাবে না। আমি চাই প্রশাসন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।'

তিনি বলেন, 'সেদিন আমি প্রায় ১০-১৫ মিনিট বক্তব্য দিয়েছিলাম। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে আমার বক্তব্যের সংক্ষিপ্ত রূপ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কোথাও পুরো বক্তব্য আসছে না।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ৫ ও ৬ আগস্ট মাজেদ কুষ্টিয়াতেই ছিল না। তার নেতৃত্বে থানায় হামলার হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। এটা অতি উৎসাহী বক্তব্য।'

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার দিন ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। লুট হয় থানার অস্ত্রাগার। আগুন দেওয়া হয় বহু যানবাহনে।

পরে ৯ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এস এম আব্দুল আলিম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৮-১০ হাজার জনকে আসামি করা হয়।

Comments