আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ, ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার
স্টার ফাইল ফটো

আদানি পাওয়ার (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

কমিটি গঠনের পর আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারকে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিতে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করতে এবং তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে।

সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নথি দাখিল করতেও বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে হাইকোর্ট আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে একটি রুল জারি করেছে।

এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদানি পাওয়ার (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ুমের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং আদানি (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের মধ্যে সম্পাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি বাতিল করার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা চেয়ে ১২ নভেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে আবেদনটি জমা দেন তিনি।

পিটিশনে তিনি বলেন, চুক্তিতে উল্লিখিত শর্তাবলী একটি পক্ষে (আদানি) যায়। এটি পুরো জাতির ক্ষতি করেছে এবং জননীতি ও জনস্বার্থের পরিপন্থী।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর আইনজীবী কাইয়ুম বিপিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে তিন দিনের মধ্যে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা বা বাতিল করতে বলেন।

তিনি আইনি নোটিশে বলেছেন যে অনেক বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন যে চুক্তির অধীনে, বাংলাদেশ নিম্ন-গ্রেডের কয়লার জন্য তার অন্যান্য কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুতের জন্য যা দেয় তার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দাম দেবে।

আজ রিট আবেদনের শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago