যুবদল নেতা ভিআইপি রুম না পাওয়ায় মহাখালীতে অনুসারীদের বার ভাঙচুর

যুবদল নেতা ভিআইপি রুম না পাওয়ায় মহাখালীতে অনুসারীদের রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার ভাঙচুর। ফাইল ছবি | সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালীতে জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে এক যুবদল নেতা ভিআইপি রুম না পাওয়ায় সেখানে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই বারে ভাঙচুর চালানোর সময় নারীদের লাঞ্ছিত করা হয়।

এসময় বারের কর্মচারীদের মারধর এবং নগদ অর্থ ও মদের বোতল লুট করার ঘটনাও ঘটে।

এ ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মনির হোসেন নিজেকে যুবদল নেতা দাবি করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী রেস্টুরেন্টের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক। অভিযোগে তিনি বলেন, 'ঘটনার আগের দিন অভিযুক্ত মনির হোসেন রেস্টুরেন্টে এসে নিজেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দিয়ে ভিআইপি রুম দাবি করেন। সে সময় কোনো রুম খালি না থাকায়, তাকে সাধারণ টেবিলে বসানো হয়।'

'খাবার শেষে ছাড় দিয়ে বিল নেওয়া হলেও, তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং হুমকি দিয়ে রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করেন,' এজাহারে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, পরদিন মঙ্গলবার রাতে মনির হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল রেস্টুরেন্টে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। তারা টিভি, চেয়ার, টেবিল, সিসিটিভি ক্যামেরা ও মনিটর, ল্যাপটপ, গ্লাস ও অন্যান্য সামগ্রী ভেঙে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করে।

এছাড়া কাউন্টার থেকে তারা নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং স্টোর থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকার বিদেশি মদ লুট করে নিয়ে যায়।

রেস্টুরেন্টের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার সময় কর্মীদের হুমকি দেয় এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া ওই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হামলাকারীরা কয়েকজন নারীকে লাঞ্ছিত করছে। ওই নারী আতঙ্কে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

এসআই এমদাদুল হক বলেন, 'আমরা নারী লাঞ্ছনার অভিযোগও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।'

এদিকে, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর যুবদল আজ এক বিবৃতিতে জানায়, মনির হোসেনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি এবং প্রাথমিক সদস্যপদও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, 'দল থেকে বহিষ্কৃত কারও আচরণের দায় দল নেবে না। সব নেতাকর্মীকে তার সঙ্গে দলীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।'

মনির হোসেনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে যুবদল।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago