‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, এখন আর ঘামাচি হয় না, পাউডার কোম্পানি বন্ধ’
মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের 'বাওয়া আওয়ামী লীগ' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম।
আজ বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের লেমুবাড়ী হাইস্কুল প্রাঙ্গণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনবারের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বলেন, 'শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা। এ দেশের উন্নয়নের প্রতীক নৌকা। আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা। নৌকা প্রতীক জিতলে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন। এ দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতলে প্রধানমন্ত্রীর কোনো কাজে লাগবে না। তাতে দেশের কোনো উন্নয়ন হবে না। কারণ তারা আওয়ামী লীগ নন। তারা হলেন "বাওয়া আওয়ামী লীগ"।'
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে কিনেছেন। তারা নাকি সব ভোট দেবেন তাকে। জনগণের হাতে নাকি ভোট নেই। আমি মনে করি তাদের হাতে ভোট নেই। তারা আমার কাছে অবৈধ সুযোগ চেয়েছিলেন। আমি তাদের সেই সুযোগ দেইনি বলে তারা তার সঙ্গে গেছে। তাদের উদ্দেশ্য ওই প্রার্থীর কাছ থেকে সুবিধা আদায়, আর কিছু নয়। তবে তাদের সেই ইচ্ছা কোনোদিন পূরণ হবে না। জনগণ আমাকেই ভোট দেবে। কেননা আমি সৎ-পরিশ্রমী। সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে।'
আওয়ামী শাসনামলের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, 'ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ফ্যান আছে। এখন আর শরীরে ঘামাচি হয় না। আগে গরমে শরীরে ঘামাচি হতো। মিল্লাত পাউডার কিনতে হতো। এখন শরীরে ঘামাচি না হওয়ায় ওই পাউডার কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে।'
সভার শুরুতে মমতাজের উন্নয়ন নিয়ে গান পরিবেশন করেন স্থানীয় সংগীত শিল্পীরা। মঞ্চের সামনে বসে সেই গান শুনেন তিনি।
এসময় মমতাজের সঙ্গে ছিলেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ তোতা, স্থানীয় পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিদুর রহমান এবং জেলা মহিলা লীগের সভাপতি মৃদুলা রহমান প্রমুখ।
Comments