নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কেউ নাক গলাতে এলে মেনে নেব না: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কেউ নাক গলাতে এলে মেনে নেব না: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীরা তারাও শাস্তি পাবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কেউ যদি নাক গলাতে আসে আমরা সেটা মেনে নেব না। বাংলাদেশ মানেনি।

আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার আমরা অর্ধেকের বেশি কমিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আরও কমানো। হতদরিদ্র কেউ থাকবে না, যেটুকু আছে এখন পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ, ইনশাল্লাহ, আগামীবার নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে, জনগণের সেবা করতে পারলে এই দেশে হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না। প্রত্যেকের থাকা-খাওয়া; সে হিজড়া হোক, বেদে হোক, কুষ্ঠ রোগী হোক, যারাই হোক প্রত্যেকের জন্য ঘর দিয়ে আমরা জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। মানুষকে মানুষ হিসেবে আমরা দেখি।'

তিনি বলেন, 'এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের মানুষ তার সমান অধিকার নিয়ে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে সেটাই আমরা নিশ্চিত করেছি এবং সেটাই নিশ্চিত থাকবে। আমরা স্লোগান দিয়েছি—ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের। আমরা সেভাবেই উৎসব পালন করে থাকি। এভাবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।'

প্রথম ভোটারদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'প্রথমবারের ভোট, এ ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার, শুধু কোটালিপাড়া-টুঙ্গিপাড়া না, সারা বাংলাদেশের জন্য আমার আহ্বান; নতুন ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়ে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। কারণ তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের অগ্রগতি। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি।'

বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়। ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে। মানুষ হত্যা শুরু করেছে। রেল লাইনে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে-সেখানে আগুন দেয়। বাসে আগুন দিয়ে পোড়ায়। এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা আমাদের বন্ধ করতে হবে। কাজেই যে যেখানে আছেন, আগুন যারা দেয় বা যারা ক্ষতিগ্রস্ত করে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে, ওদেরকে ধরিয়ে দিন। ওদের উপযুক্ত শাস্তি দিন। সেটাই আমি সবার জন্য আহ্বান জানাবো।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জনগণের অধিকার নির্বাচনের অধিকার; ভোটের অধিকার। আওয়ামী লীগ—আমরাই স্লোগান দিয়েছি, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। আমরাই স্লোগান দিয়েছি, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। আজকে আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আর এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে যাব। এই দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আমি আহ্বান জানাচ্ছি।'

'নির্বাচন বানচালের যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরও একদিন উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে' হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'তারাও শাস্তি পাবে একদিন। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কেউ যদি নাক গলাতে আসে আমরা সেটা মেনে নেব না। বাংলাদেশ মানে নাই।'

তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় পারে নাই। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় আমরা অর্জন করেছি। আজকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিজয়, সেটাও আমরা ইনশাল্লাহ অর্জন করে তাদের দেখাব যে আমরা পারি। অন্তত দরিদ্রের হার ওইসব বড়লোকের দেশ থেকে আমরা আরও কমিয়ে বাংলাদেশকে আরও উচ্চ মর্যাদায় ইনশাল্লাহ আমরা নিয়ে যাব।'

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'আপনারা সব সময় আমাকে ভোট দিয়েছেন। আর আমার দায়িত্ব তো আপনারা নিয়েছেন। আমার নির্বাচন তো সব সময় আপনারাই করে দেন। আজকেও আমি আপনাদের কাছে এসেছি প্রার্থী হিসেবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার ‍সুযোগ দেন। আমি সেটাই আপনাদের কাছে আবেদন করি।'

Comments

The Daily Star  | English

Admin was hostage to politicos

Politicians aided by loyal bureaucrats were behind irregularities in development projects taken and implemented when the Awami League was in power, secretaries and other officials told a whitepaper panel.

1h ago