‘মন্ত্রীর দায়িত্ব মানুষের সুখ-দুঃখে থাকা, ১৫ বছর শাসনের নামে শোষণ হয়েছে’

জাহাঙ্গীর আরও বলেন, '২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল পার করছেন, এবার ২০২৩ সালের ভোট দেখবেন।’
জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল
জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, 'আজকে আমি বলি, গত ১৫ বছর শাসনের নামে মানুষকে শোষণ করা হয়েছে। একজন মন্ত্রীর দায়িত্ব এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে থাকা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, একজন মন্ত্রী সব এলাকায় একজন-দুজন করে সেটেল করেছেন। সব এলাকা থেকে দুয়েকজন করে এজেন্ট বের করে শাসনব্যবস্থা চালিয়েছেন।'

সম্প্রতি কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়ন বান্নারা বাজারে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলের নির্বাচনী সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, '৫২ বছর দেশ স্বাধীন। কিন্তু মানুষ এখনও গরিব কেন? অলস-অযোগ্য নেতাদের কারণে তারা গরিব। আপনারা এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হন। নির্বাচনে আপনাদের সন্তান রেজাউল করিম রাসেলকে ভোট দিন।'

এ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে উদ্দেশ্য করে জাহাঙ্গীর বলেন, 'উনি আমার কথা বলেন যে, আমি নাকি আবোল-তাবোল বলি। হলফনামায় উনি দিয়েছেন, উনার দোতলা বাড়ি। আমি বলেছি, আপনার দশতলা করে বাড়ি, আপনি হলফনামায় দোতলা লিখছেন কেন? উনি বলেন যে, আমি নাকি উনাকে ছোট করে কথা বলছি। সরকার থেকে তিনটা গাড়ি পেয়ে তিনটাই বিক্রি করে দিয়েছেন।'

এ সময় জাহাঙ্গীর আরও বলেন, '২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল পার করছেন, এবার ২০২৩ সালের ভোট দেখবেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সাপোর্টিং প্রার্থী দিয়ে দাও। আমরা সাপোর্টিং প্রার্থী দিয়েছি। নেত্রী বলে দিয়েছেন, কাউকে ছাইড়া দিও না। ভোট জনগণের কাছ থেকে নিয়ে আস।'

বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গী রেলস্টেশন সংলগ্ন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বাড়ির সামনে অবস্থিত ব্যাংকের মাঠ বস্তিতে গাজীপুর-২ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে পথসভা করেন জাহাঙ্গীর আলম।

বস্তিবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, '১৮ বছরে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়নি। তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়নি। মাদক ব্যবসা থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়নি।'

তিনি তার মাকে মেয়র পদে বিজয়ী করার জন্য বস্তিবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, 'আপনারা আমার মাকে মেয়র বানিয়ে ৫০ ভাগ উন্নয়নের পথ তৈরি করেছেন। এবার এমপি পদে ট্রাকে ভোট দিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে এমপি বানালে শতভাগ উন্ময়ন হবে।'

তিনি বলেন, 'মাদক ছাড়লে বৈধ ব্যবসায় পুঁজি দেওয়া হবে।'

ট্রাক প্রতীকের পক্ষে টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে ১৪টি পয়েন্টে নির্বাচনী পথসভা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম।

Comments