নৌকা প্রতীক নিয়েও হারলেন ইনু, স্থানীয় আ. লীগকে দোষারোপ জাসদের

ইনু নৌকা প্রতীক পেলেও, ভোটের প্রচারের শুরু থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশকিছু নেতা স্বতন্ত্র কামারুলের পক্ষে সমর্থন জানান। 
হাসানুল হক ইনু (বামে) ও কামারুল আরেফিন (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১৪ দলীয় জোটের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়েও হেরে গেছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামারুল আরেফিন।

গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়েছেন। আর ইনু পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট।

২৩ হাজার ৩৫৪ ভোটে হেভিওয়েট প্রার্থী ইনুর পরাজয়ের দায় আওয়ামী লীগের কাঁধেই চাপাচ্ছেন স্থানীয় জাসদ নেতারা। 

জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম স্বপন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

হাসানুল হক ইনু কতটা সমর্থন পেলেন নৌকার? এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাকর্মীর সমর্থন আমরা পেয়েছি। তবে কিছু জায়গায় ভোটারদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।'

নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে হাসানুল হক ইনুর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রথম থেকেই এ আসনটি ইনুকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ইনু নৌকা প্রতীক পেলেও, ভোটের প্রচারের শুরু থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশকিছু নেতা কামারুলের পক্ষে সমর্থন জানান। 

মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম সানা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠুর মতো স্থানীয় শীর্ষ অনেক নেতা কামারুলের নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেন। তখনই আলোচনায় আসে, আওয়ামী লীগের সমর্থন কতটা পাচ্ছেন হাসানুল হক ইনু। 

পরে কুষ্টিয়ায় এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের হাসানুল হক ইনুর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন। 

তবে সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন জাসদ সভাপতি

Comments