চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন

দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, আ. লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হওয়ায় চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ইউসুফ গাজীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। 
মো. ইউসুফ গাজী। ছবি: সংগৃহীত

দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হওয়ায় চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ইউসুফ গাজীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। 

আজ রোববার বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তার মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান গনি পাটওয়ারী নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তিনি জানান যে ইউসুফ গাজী খুলনার আদালতে একটি প্রতারণা মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হলে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে।'

'ইউসুফ গাজী নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ বা তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের কোনো কাগজপত্র দিতে না পারেননি। তাই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে', বলেন তিনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এ বিষয়ে জানান, ইউসুফ গাজী মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আগামী ৩ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইউসুফ গাজী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

সূত্র জানায়, ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগে ইউসুফ গাজীর বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন স্থানীয় হুমায়ুন কবির। এ মামলায় বিচারিক আদালত আসামিকে খালাসের রায় দিলেও ২০০৮ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে খুলনা দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন বাদী। আপিল শুনানি শেষে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

জেলা পরিষদ আইন ২০০০ অনুযায়ী, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার যোগ্য হবেন না। এ অবস্থায় তার নির্বাচনী মনোনয়নপত্র বাতিলযোগ্য এবং তিনি নির্বাচন করার অযোগ্য।

Comments