অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র-ইইউসহ ১৫ দূতাবাসের

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতি দিয়েছে ১৫টি বিদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশন।
স্টার ফাইল ফটো

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতি দিয়েছে ১৫টি বিদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশন।

মঙ্গলবার দেওয়া এ যৌথ বিবৃতিতে তারা মানবাধিকার রক্ষায় ও বাংলাদেশে উন্নয়নের প্রসারে গণতন্ত্রের ভূমিকা তুলে ধরে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদে উল্লিখিত স্বাধীন মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নির্বাচনের গুরুত্বও তুলে ধরা হয় বিবৃতিতে।

অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও হাইকমিশন যৌথভাবে এ বিবৃতি দিয়েছে। 

আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। একই তারিখে বিএনপির ঢাকায় গণসমাবেশ করার কথা। তবে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসন হয়নি।

আগামী বছরের শেষ দিকে বা ২০২৪ সালের শুরুর দিকে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে সারাদেশে সমাবেশ করছে।

এর মধ্যেই ১৫ দেশের এমন যৌথ বিবৃতি এলো। এছাড়া সম্প্রতি বিদেশি কূটনীতিকরা জনসমক্ষেই অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছেন। 

আজকের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, 'জনগণের অংশগ্রহণ, সমতা বিধান, নিরাপত্তা প্রদান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মূল্যবোধ ও নৈতিক অবস্থান হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন করি।'

এতে আরও বলা হয়, 'আমরা বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে এ দেশের সাফল্য অর্জনে আরও সহযোগিতা করতে আগ্রহী এবং একইসঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

12h ago