সাংবাদিক দেখে লাইন ছেড়ে গেলেন ‘ভোটাররা’

সাংবাদিক দেখে লাইন ছেড়ে গেলেন ‘ভোটাররা’
ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক দেখে লাইন ছেড়ে চলে যান লোকজন। ছবি: স্টার

সকাল থেকে ভোটারদের সারি ছিল ফাঁকা। কিন্তু সোয়া ১১টার দিকে হঠাৎ করে লোকজনে পূর্ণ হয়ে যায় ভোটারের সারি। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীরা যাচ্ছে শুনে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারের সংখ্যা বেশি দেখানোর জন্য আশেপাশের মানুষ ডেকে এনে লাইনে দাঁড় করানো হয়। তাদের অনেকে ভোটার না। অনেকে আবার ভোট দেওয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তা ছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক অনেকে ছিল ওই লাইনে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। গণমাধ্যমকর্মীদের দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আশেপাশের লোকজন লাইনে দাঁড় করিয়ে দেন ভোটারের সারি দীর্ঘ করার জন্য।  

ভোটারদের লাইনে থাকা আনুমানিক ১৪-১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার কর্মীরা তাকে লাইনে দাঁড়াতে বলে। তবে নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি লাইন ছেড়ে পালিয়ে যান। তাকে পালাতে দেখে বাকিরাও লাইন ছেড়ে চলে যায়।

প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তারের ব্যাজ পরা আলমগীর নামে এক সমর্থককে দেখা যায় লোকজনকে লাইনে এনে দাঁড় করাতে। জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোটাররা লাইনের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। সাংবাদিকদের আসা দেখে তাদের লাইনে দাঁড়াতে বলেছি।'

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সৈয়দ ইসরাফিলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৪১ জন। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছে মাত্র ১৫৩টি। 

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

3h ago