ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে প্রমাণিত, ২ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বরখাস্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যাত্রাপুর নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। ছবি: স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে একাধিক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দুজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দুই মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ শূন্য আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৯৫ নম্বর যাত্রাপুর নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ১২৭ নম্বর শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের সংবাদ প্রচারিত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এবং পুলিশ সুপারকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। দুটি বিভাগের করা পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন মতে, প্রকাশিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে যাত্রাপুর নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং অফিসার হোসেন মো. হাবিবুর রহমান (আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজের প্রভাষক) এবং শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ শফিউল্লাহর (ইসলামী ব্যাংকের আশুগঞ্জ শাখার সিনিয়র অফিসার) অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। 

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে অসদাচরণের দায়ে তাদের আগামী দুই মাসের জন্য (১৫ নভেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি) সাময়িক বরখাস্ত করেছে ইসি। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণেরও আদেশ দেওয়া হয়।

তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সাত দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার অনুরোধও চিঠিতে করা হয়।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট। 

এই নির্বাচনে আশুগঞ্জের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

5h ago