রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট চলছে

রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯০ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
সিটি নির্বাচন ২০২৩
সিলেটের পাঠানটুলায় শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছেন ভোটাররা। ছবি: শেখ নাসির/স্টার

রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ২ সিটি করপোরেশনেই ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকক্ষে রাখা হয়েছে সিসিটিভির নজরদারি।

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এই ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

দ্য ডেইলি স্টারের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সকাল ৮টায় রাজশাহীর সিটির ১৫৫ কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়।

নগরীর আসাম কলোনির ইউসিইপি স্কুল ও ছোট বনগ্রাম উচ্চ মাধ্যমিক আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ৩ ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিতে দেরি হওয়ার কথা জানান। ফলে ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের সারি দীর্ঘ হচ্ছে।

ইউসিইপি স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেতাউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১০ মিনিটের বেশি দেরি হলে নতুন মেশিন দেওয়ার নির্দেশনা আছে।'

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮টি কেন্দ্রকে 'গুরুত্বপূর্ণ' বা 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও রাজশাহীতে কাউন্সিলর পদে বিএনপির ১৬ সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া, জামায়াতে ইসলামীর ৯ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

সিলেট সিটি নির্বাচন

দ্য ডেইলি স্টারের সিলেট সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সাড়ে ২৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ২০২১ সালে সাড়ে ৭৯ বর্গকিলোমিটারে বর্ধিত করা এ নগরীর মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।

নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে ১৯০ ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৯ ভোটকক্ষে ইভিএম ভোটগ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান ও গোলাপফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম।

তাদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান গত ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলটির প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে গত ১৩ জুন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, বাসগাড়ি প্রতীকে মো. শাহজাহান মিয়া ও হরিণ প্রতীকে মোস্তাক আহমদ র‌উফ মোস্তফা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে ১৯০ কেন্দ্রের মধ্যে মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রকেই 'গুরুত্বপূর্ণ' বা 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত 'ঝুঁকিপূর্ণ' কেন্দ্রগুলোকেই 'গুরুত্বপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১৯০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বসানো হয়েছে ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা। প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

এ ছাড়াও, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারকার্যের জন্য ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৪২টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নির্বাচনী এলাকায় কাজ করছেন।

পুলিশের ৫১টি মোবাইল টিম, ১৫টি স্ট্রাইকিং টিম ও র‌্যাপিড অ্যাকশনের ব্যাটালিয়ন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের ক্রিটিক্যাল রেসপন্স টিম (সিআরটি) ও আর্মার্ড পার্সোনাল ক্যারিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Comments