তফসিল-ভোটের দিনের মধ্যে ২ মাস ব্যবধানের পরিকল্পনা ইসির
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও ভোটের দিনের মধ্যে আরও বেশি সময় রাখার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন, যাতে তারা আরও সুষ্ঠুভাবে কাজটা শেষ করতে পারে।
কমিশন তফসিল ও ভোটের দিনের মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ দিনের ব্যবধান রাখার কথা ভাবছে, যা গত দুই নির্বাচনের সময় ৪০ থেকে ৫২ দিনের ব্যবধান ছিল।
ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যবধান বাড়ানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির জন্য আরও বেশি সময় পাবেন।
ইসি সূত্র জানায়, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা করছে কমিশন।
নির্বাচনের তফসিল এবং নির্বাচনের দিনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ালে বড়দিনের ছুটির পর সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশী পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তফসিল ঘোষণা ও ভোটের দিনের মধ্যে কীভাবে আরও সময় রাখা যায়, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করছে।'
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চার থেকে পাঁচ দিন সময় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইসি। সাধারণত, কর্মকর্তারা কাজটি করার জন্য মাত্র একদিন সময় পান।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মোট ৩ হাজার ৫৬টি মনোনয়ন ফরম জমা পড়েছিল।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির জন্য কমিশন কমপক্ষে সাত দিন সময় দিতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার কমিশনার আপিল শুনানি করেন। আপিলকারীদের আইনজীবী রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে মাত্র তিন দিনে ইসি ৫৪৩টি আপিল নিষ্পত্তি করেছিল।
প্রার্থীরা সাধারণত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য মাত্র এক দিন সময় পান। ইসি তাদের প্রত্যাহারের জন্য আরও সময় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
আহসান হাবিব বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে যদি বেশি সময় থাকে, তাহলে তা তাদের দায়িত্ব আরও দক্ষতার সঙ্গে পালনে সহায়তা করবে। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির জন্য আরও সময় পাওয়া মানে কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিতে তাড়াহুড়ো করবেন না।
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে।
ইসি কবে তফসিল ঘোষণা করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করব। নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয় সে জন্য আমরা আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, তফসিল ঘোষণা ও ভোটের দিনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হলে ইসিকে আরও বেশি সময় ধরে আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রাখতে হবে।
Comments