ঢাকা-২০

এমপি বেনজীর আহমদের আয় বেড়েছে ২৯ গুণ, বেড়েছে গাড়ি-ফ্ল্যাট-জমি

এমপি বেনজীর
বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-২০ আসনের (ধামরাই) সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের বাৎসরিক আয় গত ৫ বছরে বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ। সেইসঙ্গে তার জমির পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণ। 

এছাড়া, ফ্ল্যাট, দোকান, গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে তার। শুধু তিনিই নন, আয় বেড়েছে তার স্ত্রী-সন্তানেরও। 

তবে গত ৫ বছরে এই সংসদ সদস্যের ব্যাংক ঋণ কমেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের দাখিলকৃত হলফনামা ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আগের হলফনামায় বেনজীর আহমদ বার্ষিক আয়ের একমাত্র উৎস দেখিয়েছিলেন ব্যবসা। এই খাত থেকে তখন তার আয় ছিল ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৫ টাকা। 

এবার দাখিলকৃত হলফনামায় ব্যবসা থেকে আয় দেখিয়েছেন ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭ টাকা। এছাড়া, সংসদ সদস্য ও একটি কোম্পানির পরিচালক ভাতা থেকে আয় দেখিয়েছেন মোট ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। 

দুই হলফনামায় উল্লেখিত আয় বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই সংসদ সদস্যের আয় বেড়েছে ২৯ দশমিক ৯২ গুণ।

আগের নির্বাচনের সময় দাখিলকৃত হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ ছিল নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, চলতি ব্যবসা খাতে ৪২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ব্যবসা বহির্ভূত বিনিয়োগ ৮৯ লাখ ২৬ হাজার ৩১৬ টাকা। 

বেনজীরের ব্যাংকে জমা ছিল ৬৮ হাজার ২১৪ টাকা, পোস্টাল সেভিং সার্টিফিকেট ১২ লাখ টাকা, মোটরযান ৭২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, স্বর্ণ ১৫ তোলা, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ও আসবাবপত্র মোট মূল্য ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। 

কিন্তু, এবারের হলফনামায় তিনি নগদ টাকা নেই উল্লেখ করলেও, ব্যাংকে জমা অর্থ দেখিয়েছেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৮ টাকা। পোস্টাল সেভিংস ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মোটরযান ৭২ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ও ১ কোটি ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫০ টাকার, ইলেকট্রনিকস ও আসবাবপত্র মোট ৮ লাখ টাকার।

৫ বছর আগে তার স্থাবর সম্পদ ছিল ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ কৃষিজমি, ৪০ লাখ ২৩ হাজার ২৪০ টাকা মূল্যের ১০ কাঠা অকৃষি জমি, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আড়াইতলা দালান, ১ কোটি ১২ লাখ টাকা মূল্যের ২টি ফ্ল্যাট, ৪টি দোকান বাবদ অগ্রিম ১ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার টাকা।

এবারের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, এই সংসদ সদস্য এখন ২ কোটি ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০ টাকা মূল্যের ৩৪৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কৃষিজমির মালিক। অ-কৃষি জমি ও দালান অপরিবর্তিত থাকলেও, মালিক হয়েছেন ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৩১০ টাকা মূল্যের ৪টি ফ্লাটের। এছাড়া অ্যাপার্টমেন্ট বাবদ অগ্রিম দিয়েছেন ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। দোকান-ফ্ল্যাট বাবদ অগ্রিম দেখিয়েছেন ১ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার টাকা।

৫ বছর আগে তার ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল মোট ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৩ হাজার ৪৬৩ টাকা। এবার এই দায় কমে হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। 

একাদশ সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় তার ওপর নির্ভরশীলদের (স্ত্রী-ছেলে) ব্যবসা খাত থেকে বার্ষিক আয় ছিল ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৪৩৫ টাকা। এবারের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তার স্ত্রী ও ছেলের একই খাত থেকে আয় ৫ গুণ বেড়ে হয়েছে মোট ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৩ টাকা।

এছাড়া, এই সংসদ সদস্যের স্ত্রী ও ছেলের গত ৫ বছরে স্থায়ী সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে।          
 

Comments

The Daily Star  | English

Loud blasts heard across Iranian capital: AFP

Israel says conducted 'extensive strikes' in Iran's west, while explosions near Tel Aviv, sirens blare across Israel; smoke rises after explosion in Iran’s Tabriz

2h ago