আমরা কোনো বেকায়দায় নেই: সিইসি

আমরা কোনো বেকায়দায় নেই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বেকায়দায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'বিভিন্ন কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন, যে কারণে নির্বাচন হবে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থগিত করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত কারণে নির্বাচন বন্ধ করতে হয়েছে। যে কারণে ১৫২টির মধ্যে ১৪০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল।'

তিনি বলেন, 'পাঁচটি উপজেলায় সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। মোট ২২টি উপজেলায় ইভিএমে নির্বাচন হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। যেগুলো স্পর্শকাতর, সেখানে ১৯ জন করে থাকবে। এটা আমরা নিশ্চিত করেছি।'

মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বেকায়দায় আছে কি না জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'বেকায়দায় থাকার তো প্রশ্নই আসে না! আমরা কোনো বেকায়দায় নেই। এটা একটি ভালো দিক যে, রাষ্ট্রীয় যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা যখন বিঘোষিত হয়েছে স্পষ্টভাবে সেটা বরং নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'তারপর যদি বলে থাকেন, কোনো কোনো সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী প্রভাবিত করছেন কি না, যদি করে থাকেন; আমাদের যদি সেই তথ্য দেওয়া হয় বা গণমাধ্যমেও যদি আমরা পেয়ে থাকি, আমরা তাৎক্ষণিক চেষ্টা করি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার।

'নির্বাচনের দিনে আমরা সবাই সতর্ক থাকব। আমাদের একটি কেন্দ্র আছে পর্যবেক্ষণ করার এবং আমরা এখান থেকেও কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব। আশা করি, প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি বড় হয়ে দাঁড়াবে না,' যোগ করেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পার্থক্য থাকবেই মন্তব্য করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটু বেশি হয়ে থাকে। সেদিক থেকে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা, উত্তেজনা স্থানীয়ভাবে বেশি হয়ে থাকে। সে জন্য আমরা সতর্ক থাকি।'

তিনি বলেন, 'আমাদের বক্তব্য নির্বাচন আয়োজন করা। কে কোন দল থেকে দাঁড়াল কি দাঁড়াল না; যারা নির্বাচন করবেন তাদের প্রার্থী বলা হয়। একজন-পাঁচজন প্রার্থী হতে পারে। আমাদের কাছে থাকবে প্রার্থী। প্রার্থীকে ভোট দেবে, সে কোন দলের প্রার্থী সেদিক থেকে এটা নিয়ম রক্ষার ভোট কি না, এটা মোটেই নিয়ম রক্ষার ভোট না। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন।'

তিনি আরও বলেন, 'কোনো একটি দেশের শাসন ব্যবস্থাকে চালু রাখতে হলে, সেটা কারও পছন্দ হোক বা না হোক এবং স্থানীয় সরকারগুলোকে যদি আমরা চালু রাখতে চাই, সেই নির্বাচনটা কারও পছন্দ হোক বা বর্জন করুক কিন্তু একটি নির্বাচন হতে হবে। সেই দায়িত্বটা আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, আমরা সেই দায়িত্বটা করতে পারি।

'কে কীভাবে নির্বাচনটাকে দেখবেন, সেটা আমাদের বিষয় নয়। আমরা আমাদের মতো করে দেখব,' যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমরা দেখছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। নির্বাচনের সবচেয়ে বড় জিনিস যে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেমন হচ্ছে। কেউ আসলো কি আসলো না এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা গড়ে দেখেছি চারজন করে প্রতিদ্বন্দ্বী একটি পদের জন্য। কাজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন এটা আমরা বলবো না। সেটাও একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একটি সময় ছিল যখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হতো না, এটা স্বাধীনভাবে হতো। প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থী-প্রার্থীর। আমরা দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে যাচ্ছি না। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রার্থী আছে কি না, প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কি না, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে সেটা যেন অবাধ হয়, নিরপেক্ষ হয় সেই চেষ্টা আমরা করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

7h ago