নরসিংদী সদরে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনায় কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

সংঘর্ষের কারণে ওই ভোটকেন্দ্রে প্রায় ঘণ্টাখানেক ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন (কাপ পিরিচ) ও আব্দুল বাকির (আনারস) কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এসময় অন্তত ১০ জন আহত হন।

তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পাঁচদোনা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনারস প্রতীকের সমর্থক হুমায়ুন কবির লিটন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাপ পিরিচ প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় আল আমিনের নেতৃত্বে টিপু ও দুলালসহ ১০-১২ জন কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে আমাদের ওপর হামলা করে। আমি আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিলাম। তারা আমাকে রক্তাক্ত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। আমাদের লোকদের পিঠিয়ে আহত করা হয়েছে। আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে।'

তবে কাপ পিরিচ সমর্থক আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন আব্দুল বাকিরের সমর্থক হুমায়ুন ও তার লোকজন। পরে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে এবং আমাদের ১০ জনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে ও পিঠিয়ে আহত করেছে। আমরা কাউকে আঘাত করিনি।'

পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি, কারা কারা এ ঘটনায় জড়িত। পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ভোটগ্রহণ পুনরায় চলছে। নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

10h ago