ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে হলে অক্টোবরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

আগামী ডিসেম্বরে যদি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য তার দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

'এর অর্থ হলো আইনকানুন এবং বিধিমালাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য অক্টোবর পর্যন্ত সময় আছে।'

আজ রোববার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসিতে যোগ দিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।

সংস্কার কতটা হয়েছে উপর নির্ভর করে পরবর্তী নির্বাচন এই বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সিইসি আরও বলেন, যদি ন্যূনতম সংস্কার করা হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের সময়সূচি জুনে স্থানান্তরিত হতে পারে।

'মে ও জুন মাস বর্ষাকাল, এই সময়ে অতীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, বলেন সিইসি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য নির্বাচনী সংস্কার কমিশনের করা একাধিক সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব হবে।

তিনি বলেন, যদি সংসদীয় কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়। এটি অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচন কমিশন স্থায়ী কমিটির উপর নির্ভর করতে চায় না।

নির্বাচনী সংস্কার কমিশন তার প্রতিবেদনে বলেছে যে, ইসির আইনি, আর্থিক এবং প্রশাসনিক প্রস্তাবগুলো মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে সংসদীয় কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হবে।

সংস্কার কমিশন বলেছে, 'নির্বাচন কমিশনাররা যদি সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন বা তাদের শপথ ভঙ্গ করেন, তাহলে প্রস্তাবিত সংসদীয় কমিটি তাদের তদন্ত করবে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠানোর মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Comments

The Daily Star  | English

Public servants won’t be forced to retire

The Advisory Council has decided to abolish a provision of the Public Service Act, 2018, which allows the government to send public servants into forced retirement after 25 years of service.

7h ago