শনিবার থেকে দেশের ১৬৬ চা বাগানে শ্রমিক ধর্মঘট

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দেশের ১৬৬টি চা বাগানে আগামীকাল সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।
শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সারাদেশের চা বাগানে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দেশের ১৬৬টি চা বাগানে আগামীকাল সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।

চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে দেশের চা বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাব। পাশাপাশি চা-শ্রমিকরা আগামীকাল সকাল থেকে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধও করবে।'

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, 'গত ৩ আগস্ট আমরা চা বাগানের মালিকদের কাছে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য ১ সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা সেটাতে কর্ণপাত করেননি। এর প্রতিবাদে আমরা ৪ দিন ধরে সারাদেশের সব চা বাগানে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছি। তারপরও মালিকপক্ষ আমাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় আমরা ধর্মঘটের মত কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছি।'

এদিকে চলমান এই সমস্যা সমাধানের জন্য গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের মৌলভীবাজারের কার্যালয়ে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালকের আমন্ত্রণে মালিকপক্ষ ও চা-শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে চা বাগানের মালিক পক্ষের কেউ হাজির হননি।

বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম বলেন, 'কাজ বন্ধ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে গেলে মালিক ও শ্রমিক ২ পক্ষেরই ক্ষতি হবে। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করেছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ২৮ আগস্ট তাদের সঙ্গে বসতে সময় চেয়েছেন। আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখতে বলেছেন। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সেটা মানেনি।'

Comments