শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসকের মারধরের অভিযোগ

শরীয়পুর সদর হাসপাতালে ডাক্তারের পা ধরে আছেন রোগী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এক রোগীকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। মারধরকারী ডা. আকরাম এলাহী হাসপাতালটির অর্থোপেডিক সার্জন ও মেডিক্যাল অফিসার।

৮-১০ দিন আগে ডা. আকরাম এলাহীর সহকারীর সঙ্গে এক রোগীর কথা-কাটাকাটির জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

২ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে কালো জুতা, সাদা প্যান্ট ও আকাশী শার্ট পরিহিত ডা. আকরামকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তার কক্ষে এক রোগীকে ধমকাতে দেখা যায়। ওই রোগী এক পর্যায়ে চিকিৎসকের পা ধরে বসে পড়েন। এসময় তার পিঠে চড় মারেন ডা. আকরাম। তিনি পেছনে সরে গিয়ে রোগীকে লাথি মেরে চেয়ারে বসে পড়েন।

তবে, ওই রোগীর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

রোগীকে মারধরের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. আকরাম আজ রোববার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমি কোনো রোগীর গায়ে হাত তুলিনি। ঘটনার দিন রোগীর অনেক চাপ ছিল। ওই রোগী জোর করে চেম্বারে ঢোকার চেষ্টা করলে আমার সহকারি তাকে বাধা দেন। এতে তিনি আমার সহকারীর গায়ে হাত তোলেন। আমার সহকারী অসুস্থ, হার্টের রোগী। পরে ওই রোগী চেম্বারে ঢুকে আমাকে কামড় দিতে এলে আমি দূরে সরে আসি।

ডা. আকরাম জানান ৮-১০ দিন আগে ঘটনাটি ঘটে।

ভিডিওতে মারধর ও লাথি মরতে দেখা যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো রোগীকে থাপ্পড় বা লাথি মারিনি। আমি নিজেকে বাঁচাতে সরে এসেছি। আর যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এগুলো মিথ্যা। এমন কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।

শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহ আল মুরাদ সন্ধ্যায় ডেইলি স্টারকে বলেন, ডা. আকরাম এলাহী কোনো রোগীর গায়ে হাত তুলেছেন বা মেরেছেন এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। কোনো ভিডিও আমার হাতে আসেনি। কেঊ অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।

তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, যদি কোনো বিচার প্রার্থী আমাদের কাছে বিচার না চান তাহলে কীভাবে প্রতিকার দিতে পারি। প্রতিকার চাইতে ভুক্তভোগীকে অবশ্যই অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago