অবৈধ বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ কাটার প্রতিবাদ

জঙ্গল সলিমপুরে অবরোধ-সংঘর্ষ, ৫ ঘণ্টা পর খুললো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

অবৈধ বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ কেটে দেওয়ার পর পুনরায় সংযোগের দাবি এবং উচ্ছেদের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দারা।

এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জঙ্গল সলিমপুরের প্রায় ৩-৪ হাজার বাসিন্দা ফৌজদারহাট–বায়েজিদ সংযোগ সড়কের মাথায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে তারা ফৌজদারহাট ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন এবং সেখানে বিদ্যুৎ এবং পানির দাবিতে স্লোগান দেন।

ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

সেসময় মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি, বাসসহ অনেক যানবাহন মহাসড়কে আটকে অত্যন্ত গরমে দুর্ভোগে পড়েন হাজারো মানুষ।

ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

জঙ্গল সলিমপুর সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের পাহাড়ঘেরা এলাকা। সেখানে সরকারি জায়গায় পাহাড় উজাড় করে বানানো হয়েছে প্লট, আবাসিক ভবনসহ অনেক স্থাপনা। সম্প্রতি সরকারি খাস জমি উদ্ধার এবং অবৈধ বসতি নির্মাণ বন্ধে সেখানে সরকারি স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এসব অবৈধ বসতি উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসন সলিমপুরের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা।

ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছি, কিন্তু তারা কথা শুনছেন না। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।'

ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, আন্দোলন চলাকালে বিকেল ৫টার দিকে লাঠিসোটা নিয়ে মহাসড়কে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয় স্থানীয় কিছু যুবক। এসময় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আন্দোলনকারীরা।

ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

পরে উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ। ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সড়কে ঢুকে যায়। পরে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ বায়েজিদ লিংক রোডে অবস্থান করছিল। এ বিষয়ে জানতে বার বার চেষ্টা করেও পুলিশের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago