‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে বাধা প্রচলিত ভ্যাট-ট্যাক্স’

ফাইল ছবি

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পর্যটনশিল্প বিকাশে প্রচলিত ভ্যাট ও ট্যাক্স নিয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমন্বয়ে আন্তঃসভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

সভায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হোটেল-মোটেল এবং পণ্যসামগ্রীর ভ্যাট ও ট্যাক্স অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে এটি একটি বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় আরও বলা হয়েছে, মিউনিসিপ্যালিটি ও সিটি করপোরেশন কর্তৃক আবার নতুন করে হোল্ডিং ট্যাক্সের পাশাপাশি বোর্ডারের কাছ থেকে নতুন করে ৫ শতাংশ ট্যাক্স নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা সরাসরি পর্যটনশিল্প বিকাশে বিরাট বাধা হিসেবে দেখা দেবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যটন সারা বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত সেবামূলক উপখাত, যেমন হোটেল-মোটেল-রেস্তোরা-বিনোদন পার্ক, ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যায়ে অতিরিক্ত হারে ভ্যাট ও ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়। অনেকক্ষেত্রে একই সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একইসঙ্গে সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহীতার কাছ থেকে ভ্যাট ও ট্যাক্স নেওয়া হয় অর্থাৎ ডাবল ট্যাক্সাশনের এর বিষয়টি দেখা যায়।

কমিটির মতে, পর্যটনখাতের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সেবামূলক উপখাতসহ সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে সহনীয় মাত্রায় ভ্যাট ও ট্যাক্স আরোপের বিষয়ে যৌক্তিক সমাধানের জন্য একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

সভায় বলা হয়েছে, পর্যটন করপোরেশন প্রদত্ত সেবামূল্যের উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট, সেবার মালামাল ক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে যোগান কর এবং রাজস্ব প্রাপ্তির ওপর ৫ শতাংশসহ মোট ২৫ শতাংশ ভ্যাট ও কর দিতে হয়।

সংস্থাটির আয়ের ওপর সার্বিক ২৫ শতাংশ ভ্যাট ও আয়কর পরিশোধ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব রক্ষা কঠিন হয়ে উঠেছে বলে সভায় বলা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

BNP says ‘no’ to constitutional reforms under interim govt

The BNP has said it will not support any constitutional reforms before the national election in February 2026, arguing that such changes must be made by the next parliament.

4h ago