দেশে চলছে লক্ষাধিক নৌ-যান, লাইসেন্স আছে ১৫,৮৫০টির

এতে নৌ-পথে নিরাপত্তা যেমন জোরদার করা যাচ্ছে না, তেমনি সরকারও রাজস্ব পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
নৌ-যান
স্টার ফাইল ফটো

দেশের ৮৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণ নৌ-যানের লাইসেন্স নেই। বর্তমানে দেশের ভেতরে লক্ষাধিক নৌ-যান চলাচল করলেও, এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এসেছে মাত্র ১৫ হাজার ৮৫০টি। 

এতে নৌ-পথে নিরাপত্তা যেমন জোরদার করা যাচ্ছে না, তেমনি সরকারও রাজস্ব পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জাতীয় সংসদের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

আগের বৈঠকের এই কার্যবিবরণী আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

আগের বৈঠকে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছিলেন, দেশে ১ লাখের বেশি ইনল্যান্ড ভেসেল চললেও, মাত্র ১৫ হাজার ৮৫০টি রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এসেছে। সব ভেসেল রেজিস্ট্রেশনভুক্ত না থাকায় আইন প্রয়োগে সমস্যা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, এসব ভেসেল রেজিস্টেশনভুক্ত করা গেলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। 
রেজিস্ট্রেশনবিহীন ভেসেল রেজিস্ট্রেশনভুক্ত করতে প্রকল্প গ্রহণ করার উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।

বৈঠকে বিশ্বব্যাপী সি ফেয়ারারের (নাবিক) ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিশেষ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এর সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। 
সেইসঙ্গে এসএসসি বা এইচএসসি পাস করার পরে আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করতে না পারা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে নৌ সেক্টরে চাকরি পাওয়ার যোগ্য করে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।

আজকের বৈঠকে কমিটির আগের বৈঠকে নদী কমিশনের উপস্থাপিত কিছু অভিযোগ খণ্ডন করা হয়। ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আদালতের নির্দেশনায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিশনের কিছু কিছু বক্তব্য সরকার তথা দেশের স্বার্থের অনুকূলে থাকছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেতন হওয়া দরকার।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে নৌ পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসায় নৌ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান প্রকল্পগুলো পুনঃসমীক্ষা করার সুপারিশ করে কমিটি।

বৈঠকে নৌ-রুট সচল রাখার পাশাপাশি কৃষি সহায়ক ভূমিকাতে নদী খনন গুরুত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে যে সব ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে সেগুলো পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য শাজাহান খান, রনজিত কুমার রায়, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা অংশ নেন।

Comments