সিলেটে ৩ যুক্তরাজ্যপ্রবাসীর মৃত্যু

ফরেনসিক পরীক্ষায় মেলেনি বিষ, অক্সিজেন স্বল্পতায় মৃত্যু: পুলিশ

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধারের পর ৩ যুক্তরাজ্যপ্রবাসীর মৃত্যু জেনারেটরের ধোঁয়ার কারণে সৃষ্ট অক্সিজেন স্বল্পতায় হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার তিন প্রবাসীর মধ্যে দুই জনের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

গত ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে মৃতদেহের বিভিন্ন ফরেনসিক নমুনা ও ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগৃহীত বিভিন্ন নমুনাসহ ২০টি নমুনা পরীক্ষার পর দেওয়া প্রতিবেদনে কোনো ধরনের বিষ বা চেতনানাশক উপাদান পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়।

মেডিকেল বোর্ডের দেয়া এ প্রতিবেদন ও পুলিশের তদন্তের আলোকে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে আমাদের সন্দেহ ছিল জেনারেটরের ধোঁয়ায় সাফোকেশন থেকে মৃত্যুর কারণ ওই পরিবার ঘরের মধ্যেই জেনারেটর চালিয়ে রেখেছিলেন।'

'মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে অ্যানেমিক অ্যানোক্সিয়া বা অক্সিজেন স্বল্পতা উল্লেখ আছে যা আমাদের প্রাথমিক সন্দেহের সাথে মিলছে। এর মাধ্যমে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে এই পরিবার জেনারেটরের ধোঁয়ার কারণে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয় এবং তিন জনের মৃত্যু হয়,' তিনি বলেন।

গত ২৬ জুলাই ওসমানীনগরের তাজপুর বাজারের একটি বাসায় ঘরের দরজা ভেঙে একই পরিবারের ৫ সদস্যের অচেতন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের কার্ডিফের স্থায়ী বাসিন্দা এই পরিবারের সদস্যরা হলেন, রফিকুল ইসলাম (৫০), তার স্ত্রী হোসনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুর রহমান (২৫), মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০) ও ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬)।

উদ্ধারের পর তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপর ৬ আগস্ট ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামিরা ইসলাম।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago