কমিউটার ট্রেনে ৩ টিকিটের টাকায় ১ সিট, অভিযোগের সত্যতা পেল দুদক

কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কমিউটার ট্রেনে সিট পেতে ৩টি টিকিটের দাম দিতে হয়, এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কমিউটার ট্রেন
স্টার ফাইল ফটো

কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কমিউটার ট্রেনে সিট পেতে ৩টি টিকিটের দাম দিতে হয়, এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার সকালে সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে অভিযান চালায়।

এ সময় উপস্থিত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এবং ছদ্মবেশে স্টেশন এলাকা পর্যবেক্ষণ করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম ওই অভিযোগের সত্যতা পায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এ সময় তারা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মহুয়া কমিউটার, তিতাস কমিউটার, রাজশাহী কমিউটার ও জামালপুর কমিউটার ট্রেনের টিকিট বিক্রি পর্যবেক্ষণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, দেখা গেছে যে কোনো যাত্রী সিট চাইলে তাকে বাধ্যতামূলক ২টি থেকে ৪টি টিকিটের দাম পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। দাঁড়িয়ে যেতে চাইলে একটি সিটের সম্পূর্ণ ভাড়া দিতে হয় এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১৫-২০ টাকা বেশি দিতে হয়। 

বেসরকারি এই কমিউটার সার্ভিসগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় চললেও, এর ওপর রেলওয়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। 

দুদক জানায়, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এসব ট্রেনে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করে। ট্রেন আসার এক ঘণ্টা আগে তারা টিকিট বিক্রি শুরু করে এবং যাত্রীদের হয়রানি করে।

পরে বিষয়টি নিয়ে দুদক কর্মকর্তারা স্টেশন ম্যানেজার ও স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে কথা বলে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তাৎক্ষণিক ডিআরএম শফিকুর রহমান এবং ডিসিও (ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার) শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

কমিউটার ট্রেনের এসব অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

Comments