ফরিদপুরে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৩৪ দোকান ভাঙচুর, লুটপাট

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘারুয়া ও চুমুরদী ইউনিয়নের ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। 
ছবি: স্টার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘারুয়া ও চুমুরদী ইউনিয়নের ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। 

আজ শনিবার সকাল ও গতকাল শুক্রবার রাতে ২ দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষ চলাকালে দুটি বাজারের ৩৪টি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

পরে ভাঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই দুই বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ দিন আগে ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি সড়কে গাঁজা সেবন নিয়ে মকরমপট্টি গ্রামের কয়েকজন যুবক ও কিশোরের সঙ্গে চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামের কয়েকজন যুবকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
 
পরে গত শুক্রবার বিকেলে ঘারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা শেষে ওই ২ গ্রামের যুবক ও কিশোরদের মধ্যে আবারও হাতাহাতি ও ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে পূর্ব সদরদী গ্রামের শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘারুয়া বাজারের ৯টি দোকান কুপিয়ে ভাঙচুর করে।

অন্যদিকে শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামের কয়েকশত মানুষ ঢাল, সড়কি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী বাজারের ২৫টি দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
 
ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া বাজার ও চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী বাজার ২০০ গজ পূর্ব পশ্চিমে অবস্থিত। মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে কুমার নদ। কুমার নদের একটি সেতু দুই বাজারকে সংযোগ করেছে।

ওই বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল ফকির (৬৫) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘারুয়া ইউনিয়নের লোকজন আমার সর্বনাশ করেছে। বাজারের দোকানপাট খোলার আগেই সকাল ৭টা থেকে প্রায় ৮টা পর্যন্ত ওরা তাণ্ডব চালিয়েছে।' 

বাজারের পাট ব্যবসায়ী মানিক শেখ বলেন, 'শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঘারুয়া ইউনিয়নের কয়েকশত মানুষ অতর্কিত আমাদের বাজারে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমার প্রায় ২০ মন পাট লুট করে নিয়ে যায়। বেশ কয়েক মন পাট কুমার নদে ফেলে দেয়। প্রত্যেক দোকানের বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর করেছে।' 

অপর দিকে ঘারুয়া বাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল খলিফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পূর্ব সদরদী গ্রামের শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার দোকানসহ বাজারের ৯টি দোকান ভাঙচুর করে।'
 
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, 'ভাঙচুরের খবর পেয়েই ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।' 

তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Tofazzal beaten to death at DU

Man beaten to death in DU hall

He was suspected to have stolen students' mobile phones

1h ago