মুক্তিযুদ্ধে হতাহত ১০ ভারতীয় সেনার বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

মুজিব বৃত্তি
মুক্তিযুদ্ধে হতাহত ভারতীয় সেনার বংশধরদের হাতে ‘মুজিব বৃত্তি’ তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবন উৎসর্গকারী ১০ ভারতীয় সেনার বংশধরদের 'মুজিব বৃত্তি' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

ভারতে সফররত প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সেখানে অবস্থানকালীন হোটেল আইটিসি-মৌর্য'র বলরুমে 'মুজিব বৃত্তি' প্রদান করেন।

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বের ঊর্ধ্বে এবং গত এক দশকে তা আরও জোরদার হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তোলার পর, দুই দেশ ক্রমবর্ধমান বিস্তৃত সেক্টরাল সহযোগিতায় কাজ করছে।'

'সামুদ্রিক ও স্থলসীমানা নির্ধারণের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান সেই প্রভাবের সাক্ষ্য বহন করে' উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'সম্পর্কটি বিশ্বব্যাপী "প্রতিবেশী কূটনীতির জন্য রোল মডেল" হিসেবে পরিচিত।'

মোট ২০০টি 'মুজিব বৃত্তির' মধ্যে দশম শ্রেণীতে ১০০টি এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ১০০টি বৃত্তি দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'যুদ্ধের ভারতীয় প্রবীণ সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাদের বংশধরদের জন্য আমাদের এই শুভেচ্ছা উপহার, যারা আমাদের জন্য ১৯৭১ সালে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা ভারতীয় ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং রক্ত দিয়েছেন। যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মরণ করা আমাদের জন্য সর্বদা গর্বের বিষয়। আপনাদের আমার অভিবাদন, হে সাহসী হৃদয় ,আমাদের বীরদের!'

শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী, তাই তরুণ প্রজন্মকে সেই ঐতিহাসিক অতীতের সাথে পুনরায় সংযুক্ত করার জন্য আমাদের এই বিনীত প্রচেষ্টা।'

'আমরা বিশ্বাস করি যে বৃত্তিপ্রাপ্তরা তাদের পূর্বপুরুষদের বীরত্বের স্মৃতি পুনরায় ঘুরে দেখার, বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে,' বলেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন।

এসব উপলক্ষ্য উদযাপনে বেশ কিছু যৌথ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় উল্লেখ করে তিনি বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধী এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ, বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী প্রভৃতির উল্লেখ করেন।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

2h ago