১ মাসের মধ্যে জঙ্গল সলিমপুরের উচ্ছেদ পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় জঙ্গল সলিমপুরের খাস জমি উদ্ধারে ১ মাসের মধ্যে উচ্ছেদ পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ কাজে গঠিত টাস্কফোর্সকে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় জঙ্গল সলিমপুরের খাস জমি উদ্ধারে ১ মাসের মধ্যে উচ্ছেদ পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ কাজে গঠিত টাস্কফোর্সকে।

সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পাহাড়ঘেরা জঙ্গল সলিমপুরের সরকারি খাস জমিতে পাহাড় উজাড় করে বানানো হয়েছে প্লট, আবাসিক ভবনসহ অনেক স্থাপনা। সম্প্রতি খাস জমি উদ্ধার ও অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করা শুরু হলে, এতে বাধা দিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।

জঙ্গল সলিমপুরের প্রায় ৩১০০ একর খাস জায়গা উদ্ধারকল্পে এবং সেখানকার জীব-বৈচিত্র‍্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সোমবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ৫টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জঙ্গল সলিমপুরের খাস জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা এবং জমি উদ্ধারের পর সেখানে জীব-বৈচিত্র‍্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কয়েকটি  টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয় বৈঠকে।

টাস্কফোর্স কমিটিগুলো আগামী ১ মাসের মধ্যে উচ্ছেদ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন এবং উদ্ধারকৃত সরকারি খাস জমিতে জীব-বৈচিত্র‍্য অক্ষুণ্ণ রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে বলা হয়, জঙ্গল সলিমপুরে যারা প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন আছে, তাদের স্থায়ী ঠিকানায় নিজ উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

এছাড়া, জঙ্গল সলিমপুরে সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ও মাদক চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তারে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

এসব বাস্তবায়নে আগামী ১ মাসের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান করে তা কার্যকর করার জন্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

এ বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রাম রক্ষা বাহিনীর প্রধান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম ও সিডিএ চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

Comments