২০ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, প্রতিবাদ করায় মামলা-গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কুলাউড়া সাব জোনাল অফিসের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির প্রতিবাদ করার পর এক গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সমিতি।
গ্রাহক লুৎফুল হায়দারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শুক্রবার কুলাউড়া স্টেশন চৌমুহনীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কুলাউড়া সাব জোনাল অফিসের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির প্রতিবাদ করার পর এক গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সমিতি।

মামলার পর গ্রাহক লুৎফুল হায়দারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার কুলাউড়া স্টেশন চৌমুহনীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সত্ত্বেও পল্লী বিদ্যুৎ বরমচাল অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুর হায়দারের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ গত ২৮ আগস্ট বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে সমিতির এজিএম নাজমুল হক ও ইনচার্জ জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন লুৎফুর হায়দার।

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় হামলার অভিযোগে গত ১০ সেপ্টেম্বর লুৎফুর হায়দারের বিরুদ্ধে মামলা করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

মানববন্ধনে অংশ বক্তারা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পরও ২০ দিন ধরে গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে উল্টো সেই গ্রাহকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। 

মানববন্ধনে লুৎফুরের ভাই আজিজুল হায়দার বলেন, 'বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলেও ২০ দিন ধরে আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়নি। আমার মা ডায়াবেটিস, হার্ট ও প্রেসারের রোগী। বিদ্যুৎ না থাকায় তাকে থেরাপি ও শ্বাসকষ্টের জন্য নেবুলাইজার দিতে পারছি না।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কুলাউড়ার সাব জোনাল অফিসের এজিএম এম নাজমুল হক তারেক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই গ্রাহক পুনঃসংযোগের কোনো আবেদন করেননি। আবেদন করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

'সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে,' বলেন তিনি।
 

Comments