বাংলাদেশ

বাসার প্রবেশপথে ময়লা ফেলে গেল ‘পৌরসভার গাড়ি’

জামালপুর পৌরসভার জঙ্গলপাড়ায় এক পৌর বাসিন্দার বাসার প্রবেশপথে ময়লা ফেলা ও বাসার সীমানা প্রাচীর ভাঙার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর বিরুদ্ধে।
গেটের সামনে ময়লা
জামালপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জঙ্গলপাড়া বোর্ডঘর সড়কের পাশে একরামুল হকের বাসার প্রবেশপথে ময়লার স্তূপ। ছবি: স্টার

জামালপুর পৌরসভার জঙ্গলপাড়ায় এক পৌর বাসিন্দার বাসার প্রবেশপথে ময়লা ফেলা ও বাসার সীমানা প্রাচীর ভাঙার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর বিরুদ্ধে।

মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার পৌরসভার গাড়ি সেখানে ময়লা ফেলেনি। কেউ যদি ফেলে থাকে তাহলে সময় এলে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।'

গতকাল বুধবার রাতে সরেজমিনে দেখা গেছে, জামালপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জঙ্গলপাড়া বোর্ডঘর সড়কের পাশে একরামুল হকের বাসার প্রবেশপথে ময়লার স্তূপ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ময়লার স্তূপ থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

একরামুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বাড়ির পাশ দিয়ে পলিশা মৌজার সরু পথ ছিল। অবৈধ দখলের কারণে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। রাস্তা নতুন করে তৈরি করতে গিয়ে ভুল সীমা নির্ধারণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে পৌরসভার সঙ্গে আমার মামলা চলছে।'

'নিষেধাজ্ঞা চলা অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা অবমাননার দায়ে ভায়োলেশন মামলা হয়,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'হঠাৎ গত ১৮ সেপ্টেম্বর মেয়র তার ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে জোরপূর্বক টিনের বাউন্ডারি ভাঙচুর করে ও ফলজ গাছপালা কাটে।'

তার অভিযোগ, 'পুলিশের সহায়তা চেয়ে আবেদন করায় পুলিশ কাজে বাধা দিলে তারা নিজেদের সরকার দলীয় লোক পরিচয় দিয়ে হুমকি দেয় ও গালিগালাজ করে।'

'পুলিশ চলে গেলে জামালপুর পৌরসভার ২টি গাড়ি পঁচা-দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা বাসার প্রবেশপথে ফেলে যায়। সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে,' যোগ করেন একরামুল।

'ময়লার গন্ধে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি,' বলেন একরামুল হকের প্রতিবেশী আনোয়ারা।

'রাস্তার জমি নিয়ে ঝগড়া হওয়ার পর গত সোমবার বিকেলে পৌরসভার গাড়ি বাসার প্রবেশপথে ময়লা ফেলে যায়,' বলেন একরামুল হকের বাসার কাজের মেয়ে জুলেখা।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একরামুলের বাসার গেইটে ময়লা ফেলার কথা শুনেছি। কে বা কারা ফেলছে তা জানি না।'

Comments