ত্রুটিপূর্ণ স্কোরবোর্ড কেনায় ক্রীড়া পরিষদের ওপর ক্ষুব্ধ সংসদীয় কমিটি

মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সের জন্য ২০১৯ সালে ৫ কোটি টাকায় ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক স্কোরবোর্ড কেনায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সংসদ ভবন
জাতীয় সংসদ ভবন। ছবি: ফাইল ফটো

মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সের জন্য ২০১৯ সালে ৫ কোটি টাকায় ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক স্কোরবোর্ড কেনায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার কমিটির বৈঠকে ক্রীড়া পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

তিনি জানান, সুইমিং কমপ্লেক্সের ওই স্কোরবোর্ডটি স্থাপনের প্রথম দিন থেকেই নষ্ট ছিল।

জ্যাকব বলেন, 'যখনই কোনো জিনিস কিনবেন, সেটা মোটরসাইকেল হোক বা মোবাইল ফোন বা এয়ার কন্ডিশনার হোক, তা ঠিকমত কাজ করে কি না, সেটা দেখবেন প্রথমে। তারপর, আপনি মূল্য পরিশোধ করে কিনবেন।'

'এই স্কোরবোর্ডের ক্ষেত্রে কীভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তা সঠিকভাবে পরীক্ষা না করে সাপ্লাইয়ারকে টাকা দিয়ে দিলো,' প্রশ্ন জ্যাকবের।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) যুগ্ম-সচিব শাহ আলম সরদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

স্কোরবোর্ড ত্রুটিপূর্ণ এবং কাজ করছে না বলে তদন্ত কমিটি এর আগে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল।

সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে সেরা সাঁতারু খুঁজে পেতে প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং পুল সংস্কারের উদ্যোগ নেয় ক্রীড়া পরিষদ।

এর অংশ হিসেবে পুরনো স্কোরবোর্ডটি সরিয়ে ড্যাকট্রনিক্স কোম্পানির নতুন স্কোরবোর্ড স্থাপন করা হয়।

নতুন স্কোরবোর্ড স্থাপনের পর সেখানে বাংলাদেশ গেমস, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও বয়সভিত্তিক জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র জানায়, নতুন ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডটি একই সময়ে সবগুলো লেনের সময় দেখাতে পারে না। কখনো কখনো ৮ লেনের মধ্যে ৫-৬ লেনের সময় দেখাতে পারে। এ কারণে এক ইভেন্টে সব সাঁতারুর সময় একসঙ্গে রেকর্ড করা সম্ভব হয় না।

কখনো কখনো শেষ লেনের সময় প্রায় ১০ সেকেন্ড পর দৃশ্যমান হয়। যে সময়ের মধ্যে সাঁতারু তার সাঁতার শেষ করে, স্কোরবোর্ডে তার নামের পাশে আরও ১০ সেকেন্ড যোগ করে চূড়ান্ত সময় গণনা করা হয়।

সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা ম্যানুয়াল বা হ্যান্ড-টাইমিংয়ের এই ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন না বলেও সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, তারা স্কোরবোর্ড ব্যবহার করছেন না। কারণ এটি সাঁতারুর সময় ঠিকমতো হিসাব করতে পারে না। এর পরিবর্তে স্টপওয়াচ ব্যবহার করে টাইমিং হিসাব করা হয়।

Comments