করতোয়ায় নৌকাডুবি: পঞ্চগড়ে অনাড়ম্বর দুর্গাপূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত

পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পঞ্চগড়ে এ বছর অনাড়ম্বর শারদীয় দুর্গাপূজা পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 
করতোয়ায় নৌকাডুবিতে এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ বাকি ৩ জনের খোঁজে চলছে অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পঞ্চগড়ে এ বছর অনাড়ম্বর শারদীয় দুর্গাপূজা পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতারা আজ শুক্রবার স্ব স্ব উপজেলায় পৃথক সভা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় সংগঠনের জেলা পর্যায়ের নেতারা পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় মন্দিরে আয়োজিত এক সভায় এবার জেলার ২৯৬টি পূজা মণ্ডপে আড়ম্বরহীন পূজা পালনের সিদ্ধান্ত নেন।  

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায় দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, পূজার সপ্তমী তিথিতে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন এবং পূজার সময় ভক্তদের কাছ থেকে প্রাপ্ত নগদ অর্থ মৃতদের পরিবারকে দান করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন সংগঠন ২টির নেতারা।  

কন্ট্রোলরুমের প্রধান ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর রায় জানিয়েছেন, নিখোঁজ বাকি ৩ জনকে উদ্ধারে আজও করতোয়া নদীতে ডুবুরিরা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। 

নিখোঁজরা হলেন দেবীগঞ্জের ছাতরা শিকারপুর হাতিডুবা গ্রামের ভূপন চন্দ্র বর্মণ (৪০), বোদা উপজেলার সাকোয়া গ্রামের সুরেন চন্দ্র বর্মণ (৬৫) ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়ারপাড়ার জয়া রানী (৪)।

গত রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে আউলিয়া ঘাটে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে যায়। নৌকাটির যাত্রীরা মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ এবং দিনাজপুরের খানসামা ও বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। 

 

 

Comments