চট্টগ্রামে জুলুস অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়েছে।
আজ রোববার সকালে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুনিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত জুলুসে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
নগরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসাসংলগ্ন আলমগীর খানকাহ–এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জুলুস বের হয়। এটি নগরের মুরাদপুর, চকবাজার, জামালখান, কাজির দেউড়ি, ওয়াসা, জিইসি, ষোলশহর ২ নম্বর গেট প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসায় এসে শেষ হয়।
জুলুসকে ঘিরে মুরাদপুর, বিবিরহাট, মাদ্রাসা এলাকায় শত শত টুপি, মাস্ক, আতর, সুরমা, তসবিহ, পাঞ্জাবি, ইসলামী বই, খাবারের দোকান বসতে দেখা গেছে।
পরবর্তীতে মাদ্রাসা মাঠে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলে বক্তারা বলেন, আল্লাহর রহমত হিসেবে ১২ রবিউল আউয়াল পৃথিবীতে আবির্ভূত হন আমানের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শের শিক্ষাদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে তার সুন্দরতম আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি-সৌহার্দ্য, সাম্য-মানবতা প্রতিষ্ঠা করেন।
মাহফিল শেষে দেশ-জাতির উন্নতি, সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
জুলুসকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জুলুসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও দায়িত্বে রয়েছেন আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) ৩ হাজার, গাউসিয়া কমিটির নেতা-কর্মী ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
এ বছর হিজরি বর্ষ অনুযায়ী জুলুসের ৫০তম আয়োজন। তাই জুলুসকে ঘিরে চট্টগ্রাম সেজেছে বর্ণিল সাজে। করোনা মহামারিতে ২ বছর সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হয়েছিল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস।
Comments