‘মিনিকেট নামে ধান আছে, চালের দাম বাড়ছে মনিটরিংয়ের অভাবে’ দাবি ব্যবসায়ীদের
নওগাঁর চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ধানের দামের ওপরে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা চালের একটি দাম নির্ধারণ করে এবং বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে বিভিন্ন বাজারে যাওয়ার পর তা বেড়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁর চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন।
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, 'মিনিকেট ধান নিয়ে বিতর্ক চালকল বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বাজারে মিনিকেট চাল আছে।'
'আমরা নাটোর, নন্দিগ্রাম, সিংড়া, রনবাঘা প্রভৃতি হাটে এবং কুষ্টিয়ার বিভিন্ন হাটে বাজারে কৃষকের কাছে মিনিকেট ধান পেয়ে থাকি। তাহলে এটি কোন ধান,' প্রশ্ন করেন তারা।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, 'বলা হচ্ছে, বি আর ২৮ ও বি আর-২৯ জাতীয় ধানের চাল সুপার পালিশ করে মিনিকেট চাল হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। মোটা চাল ও সর্বোৎকৃষ্ট মানের সরু চালের (মিনিকেট) বাজার মূল্যের পার্থক্য প্রতি কেজি ১৫-১৭ টাকা। বি আর-২৮ ও বি আর-২৯ জাতীয় চালের দামের পার্থক্য ৭-১০ টাকা প্রতি কেজি।'
তাদের প্রশ্ন, 'পৃথিবীতে এমন কোনো মেশিন আবিষ্কার হয়েছে কি, যা দিয়ে চাল লম্বা করা যায় বা কেটে ছোট করা যায়?'
সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁ জেলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিক সমিতি ও ধান-চাল আড়তদার সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা।
তিনি বলেন, 'ধানের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম বাড়বে, এটাই বাস্তবতা। আমরা ধানের দাম ও প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ হিসাব করে দাম নির্ধারণ করি এবং মূল্যের মেমো সংযুক্ত করে দেশের বিভিন্ন বাজারে চাল পাঠাই।'
'ব্যবসায়ীদের একটি অংশ আমাদের মেমোর দাম কারসাজি করে এবং দাম বাড়ায়,' বলেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং জোরদার করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, 'মেমোতে উল্লেখ করা তারিখে কী দামে চাউল পাঠানো হয় তা যাচাই করা হোক। তাহলে পরিষ্কার হয়ে যাবে, মূল্য বৃদ্ধির কারসাজির সঙ্গে কারা জড়িত। মিল পর্যায়ে ধানের দাম এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন ব্যয় ও ন্যূনতম মুনাফা যোগ করে দেখা যেতে পারে যেন মিল মালিকরা অনৈতিক কোনো মুনাফা অর্জন করছে কি না?'
Comments