বরিশাল মহাশ্মশানে দীপাবলি
বরিশাল মহানগরীতে প্রতিবছরের মতো এবারও উপমহাদেশের একমাত্র শ্মশান দীপাবলি উৎসব পালিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হাজারো মানুষ এই শ্মশান দীপাবলি উৎসবে অংশ নেন।
প্রায় ২০০ বছর প্রাচীন এই শ্মশান দীপাবলি উৎসবে যারা যোগ দিয়েছেন তারা তাদের পূর্বপুরুষের সমাধিতে মোম, প্রদীপ, ধূপ কাঠি প্রজ্বালন করেন এবং সমাধিতে প্রিয়জনের প্রিয় খাবার রেখে আসেন।
রোববার রাতে বরিশাল নগরীর কাউনিয়ার মহাশ্মশানে আসা শতবর্ষী বৃদ্ধা বন্দনা গুপ্তা দ্য ডেইলি স্টারকে এমনটিই জানালেন।
সমাধিতে ফুল দিতে ঢাকা থেকে বরিশাল এসেছেন রুপক শীল। তিনি ডেইলি স্টারকে জানান, বাবার স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দীপাবলিতে তিনি মহাশ্মশানে যান।
আরও দেখা হলো জঙ্গিদের হাতে নিহত সহকারী জজ জগন্নাথ পাড়ের ছেলে শ্রেষ্ঠ পাড়ে। তিনি এসেছেন তার পিতার সমাধিতে ফুল দিতে।
শ্মশান দীপাবলি উৎসবকে ঘিরে প্রায় ৭ একর এলাকা জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জী ডেইলি স্টারকে জানান, প্রতি বছর পূর্ব পুরুষের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে দীপাবলির সময় দেশ ও বিদেশ থেকে ১০-১৫ হাজার মানুষ এখানে আসেন। প্রিয়জনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে জ্বালানো মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো শশ্মান।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ শ্মশান দীপাবলি উৎসবে অংশ দেন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বরিশাল সিটি করপোরেশনের সব স্থাপনার মধ্যে বরিশাল মহাশ্মশান অন্যতম প্রাচীন। শ্মশানের উন্নয়নের জন্য সিটি করপোরেশন ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে।'
উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর ভূত চতুর্দশী ও পুণ্য তিথিতে এই আয়োজন বরিশালে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব বলে বিবেচিত।
Comments