অল্পবয়সী ছেলেদের হিজরতের নামে ‘ব্রেইনওয়াশ’ করা হচ্ছে: র‍্যাব ডিজি

অল্পবয়সী ছেলেদের হিজরতের নামে ‘ব্রেইনওয়াশ’ করা হচ্ছে: র‍্যাব ডিজি
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগরে র‌্যাব-১১ এর সদরদপ্তরে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ধ্বংসের সময় প্রেস ব্রিফিং করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

অল্পবয়সী ছেলেদের হিজরতের নামে 'ব্রেইনওয়াশ' করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেন। 

তিনি বলেন, 'প্রত্যেকের বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর। তাদের ব্রেইন ওয়াশ করে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে।'

পাহাড়ে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, 'এটা কোনো অস্থিতিশীল অবস্থা না, এটা মূলত জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান। অপারেশনটা এখনো যেহেতু চলছে। শেষ করে আমরা সব জানাব। র‌্যাবের কোনো কিছুই আমরা হাইড (গোপন) করবো না।'

আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগরে র‌্যাব-১১ এর সদরদপ্তরে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ধ্বংসের সময় সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। 

গত ২৩ জুলাই সোনারগাঁয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ২ কন্টেইনার ভর্তি বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করে র‌্যাব-১১।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ হোসেন বলেন, 'আগস্ট মাসে পত্রিকায় আমরা দেখলাম, কুমিল্লা থেকে বেশ কিছু তরুণ নিখোঁজ হয়েছে। এ সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে ৫৫ জনের নাম পেলাম। পরে ৩৫ জন হিজরতের নামে বাড়ি ছেড়েছে বলে নিশ্চিত হলাম। তারা কোথায় গেল খুঁজতে গিয়ে কয়েকজন ধরা পড়লো। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজনকে ধরা হলো। এই কার্যক্রম আমাদের অব্যাহত আছে।'

বান্দরবানের রামুতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের জঙ্গিবিরোধী যৌথ অভিযান অব্যাহত আছে জানিয়ে র‌্যাব প্রধান বলেন, 'এক সময় নর্থবেঙ্গল থেকে জঙ্গি আসতো। এর উত্থান হয়েছিল ২০০৫ সালে জোট সরকারের আমলে। সে জঙ্গিরা সারা বাংলাদেশে বিস্তার করলো। পরে সমগ্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচেষ্টায় আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম। তারা এখন সমতলে সুযোগ না পেয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা নির্বাচন করেছে।'

'পাহাড়ে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আছে। কোনো একটা সংগঠনের ছত্রছায়ায় তারা বান্দরবানের রামুতে অবস্থান নিয়েছে। খুবই দুর্গম এলাকা জায়গাটি। গাড়ি তো যায়ই না, হেঁটে যেতে ৮ ঘণ্টা সময় লাগে,' বলেন তিনি। 

র‍্যাবের ডিজি আরও বলেন, 'পরে আমরা তথ্য পেলাম, কোনো একটা সংগঠন তাদের সেখানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সবকিছু কনফার্ম হয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে জানালাম।

নির্দেশ মোতাবেক পরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে ড্রোনের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে আমরা অভিযান চালিয়েছি। আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি, ২১টা অস্ত্র উদ্ধার করেছি।'

পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে খুরশীদ হোসেন বলেন, 'তারা পাহাড়ের উপরে যেসব জায়গায় তাঁবু করেছিল সেগুলো আমরা অলরেডি গুড়িয়ে দিয়েছি এবং আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। তারা দুইভাগ হয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সেনাবাহিনী এমন অবস্থান নিয়ে রেখেছে যে তারা বর্ডারের দিকেও

যেতে পারছে না আবার নিচেও নামতে পারছে না। এর মধ্যে একজন আত্মসমর্পন করেছে। সে ১০ দিন ধরে ভাত খায়নি। আরও এচিভমেন্ট যখন আসবে তখন আমরা বিস্তারিত জানাবো।'

সেসময় নারায়ণঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন, র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Tk 707cr spent in 9yrs, dengue still ravages Dhaka

This year, DNCC proposed Tk 135 crore budget and DSCC Tk 46.50 crore for mosquito-control activities.

10h ago