এবার শরীয়তপুর-মাদারীপুর থেকে ফরিদপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ

প্রতীকী ছবি | সংগৃহীত

ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন এবার শরীয়তপুর ও মাদারীপুর থেকে ফরিদপুরগামী সব বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ২ জেলার বাস মালিক সমিতি। 

আজ শুক্রবার সকাল থেকে ফরিদপুর রুটে এই ২ জেলার কোনো বাস চলছে না। বাস মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামীকালও এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

বাস বন্ধ রাখার কারণ হিসেবে মাদারীপুর বাস মালিক সমিতি বলছে, বিএনপির সমাবেশের কারণে তারা নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। কোনো ধরনের ক্ষতি যেন না হয়, এ জন্য তারা বাস বন্ধ রেখেছেন।

এদিকে মাদারীপুর বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে, মহাসড়কে লেগুনা, নসিমন-করিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ সব ধরনের ৩ চাকার যান চলাচলের জন্য তাদের পরিবহন ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।  এর প্রতিবাদ হিসেবে তারা ২ দিনের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।

কিন্তু কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এই ২ জেলা থেকে ফরিদপুরগামী সাধারণ যাত্রীরা।

মাদারীপুর বাস মালিক সমিতির  সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাদারীপুর-ফরিদপুর রুটে প্রতিদিন আমাদের ১১টি বাস চলাচল করে। আগামীকাল ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশের কারণে বাসগুলো যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ জন্য আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি।'

মফিজুর রহমান আরও বলেন, 'এছাড়া তাছাড়া মহাসড়কে কিছু অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। যার কারণে মাঝে মাঝেই আমরা সড়ক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হই। বাস বন্ধের এটাও একটি কারণ। এগুলো বন্ধ না হলে আমরা হয়তো বাস চলাচল আরো কিছুদিন বন্ধ রাখতে পারি।'

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক তালুকদারের ভাষ্য, 'বিএনপির সমাবেশের কারণে আমরা বাস চলাচল বন্ধ রাখিনি। মূলত মহাসড়কে লেগুনা, নসিমন-করিমন ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন চলার কারণে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া অবৈধ যানগুলো রাতে এলইডি হেডলাইট ব্যাবহারের কারণে বাস চালকরা কিছু দেখতে পান না। যে কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। এগুলো বন্ধের প্রতিবাদে বাস বন্ধ করেছি আমরা।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago