২৮ মাসেও জোড়া লাগেনি ঝিনাই সেতু, দুর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

২ বছর ৪ মাসেও (২৮ মাস) জোড়া লাগেনি জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার ঝিনাই সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশ।
ঝিনাই সেতু
২০০৩-০৪ অর্থবছরে শুয়াকৈর-হুদুর মোড় এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ঝারকাটা সেতুটি নির্মিত হয়।ছবি: শহীদুল ইসলাম/স্টার

২ বছর ৪ মাসেও (২৮ মাস) জোড়া লাগেনি জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার ঝিনাই সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশ।

আজ শনিবার সকালে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের দুর্ভোগ কমাতে জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেতুটি মেরামত করা হবে। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি নেই। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নানাভাবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম, সাংবাদিক জাকারিয়া জাহাঙ্গীর, আলহাজ্ব তালেব উদ্দিন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের ২১ জুলাই বন্যার তোড়ে ভেঙে যায় উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুটি। তারপর থেকে দুর্ভোগ নিয়েই যাতায়াত করছে প্রায় ২০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। বর্ষাকালে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত কাঠের ব্রিজই তাদের একমাত্র ভরসা। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় চলাচল করতে গিয়ে নৌকাডুবিতে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনাও ঘটেছে এ এলাকায়।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে শুয়াকৈর-হুদুর মোড় এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ঝারকাটা সেতুটি নির্মিত হয়। ২০০৬ সালে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। নির্মাণের ১৪ বছরের মাথায় ২০২০ সালের ২১ জুলাই দুপুরে সেতুটির ২টি পিলারসহ ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি গার্ডার প্রায় এক ফুট দেবে যায়। ওইদিন রাতেই সেতুর মাঝের অংশের ৭ নম্বর পিলার এবং ৬ ও ৭ নম্বর স্প্যানের ৪০ মিটার পানির তোড়ে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

Comments