মোগলহাট চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া শুরু: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম
লালমনিরহাটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ছবি: দিলীপ রায়

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা সীমান্তবর্তী মোগলহাটে বন্ধ থাকা কাস্টমস চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরটি পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, 'এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও রেল মন্ত্রণালয়।'

আজ রোববার দুপুরে লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সম্মেলন কক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও পৌরসভা যৌথভাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধন প্রদান করে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'মোগলহাট কাস্টমস চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরটি লালমনিরহাটের ব্যবসায়ীদের যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার ব্যবসায়ীদের। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের যৌথভাবে আরও বৈঠক করতে হবে। এ রুটটি পুনরায় চালু করতে ধরলা নদীর ভাঙনরোধ ও নদী শাসন করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে সার্বিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখব। আশা করছি এ রুটটি পুনরায় চালু হবে।'

লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ জানান, মোগলহাট রুটটি পুনরায় চালু হলে ভারতের ৭টি অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে। এ রুট দিয়ে সহজে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা যাবে এবং পরিবহন খরচ সাশ্রয় হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা এ ব্যাপারে ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করছি। তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত আছে। আমাদের চেয়ে ভারতের ব্যবসায়ীরা এ রুটটি পুনরায় চালু করতে বেশি আগ্রহী। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত মোগলহাট রুটটি জাকজমক ছিল। কিন্তু, বন্যায় থরলা নদীর ওপর সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রুটটি বন্ধ হয়ে যায় ১৯৮৮ সালে।'

লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন জানান, মোগলহাট কাস্টমস চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরটি পুনরায় চালু হলে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে লালমনিরহাটের অর্থনীতিতে। পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

  

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

8h ago