‘ভবিষ্যতে সুন্দরবনে দস্যুতার দুঃসাহস দেখালে কঠোর ব্যবস্থা’

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) কে এম আরিফুল হক বলেছেন, ২০১৮ সালের পর থেকে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। হঠাৎ করে একটি নব্য বনদস্যু বাহিনী সুন্দরবনে জেলেদের ওপর হামলা ও মুক্তিপণ দাবি করেছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) কে এম আরিফুল হক বক্তব্য রাখছেন। ছবি: স্টার

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) কে এম আরিফুল হক বলেছেন, ২০১৮ সালের পর থেকে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। হঠাৎ করে একটি নব্য বনদস্যু বাহিনী সুন্দরবনে জেলেদের ওপর হামলা ও মুক্তিপণ দাবি করেছে।

তিনি বলেন, 'পুলিশ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিষয়টি মোকাবিলা করেছে। অভিযান চালিয়ে অপহৃত জেলেদের উদ্ধার ও ৩ দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ সুন্দরবনে দস্যুতা করার দুঃসাহস দেখালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

আজ শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সরকারি রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুল মাঠে আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু, জেলে ও মৎস্যজীবীদের  সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, 'অনেক জেলে রয়েছেন, যাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা রয়েছে। যদি কোনো জেলে দস্যুতা কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ ছাড়া, সুন্দরবনে জেলেদের নিরাপত্তার জন্য টহলে অতিরিক্ত দ্রুতগামী একটি জলযান দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৎস্য ব্যবসায়ী এম সাইফুল ইসলাম খোকন, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন এবং ধানমাগর ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় সুন্দরবনের বনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকার বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। এ সভায় জেলার শরণখোলা, কচুয়া ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যু, সুন্দরবনের জেলে, মৎস্যজীবী, মাছ ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago