‘তারেক-মামুনের পাচার করা ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও আনা যাচ্ছে না’

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

বিদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পাচারকৃত ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেলেও তা আনা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

তিনি বলেন, যে ব্যাংকের ভল্টে ওই টাকা আছে সেটা তারেক রহমান এবং মামুনের আই কন্টাক্ট ছাড়া বের করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে টাকাটা এখনো ফেরত আনা যাচ্ছে না।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, বিএনপির আমলে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান, কোকো এবং তার বন্ধু মামুনের লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। আজকে বাংলাদেশ ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ ফেরত এনেছে। তারেক এবং মামুনের আরও টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদেশের একটি ব্যাংকে তারেক এবং মামুনের ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে ওই ব্যাংকের একাউন্টে যে ভল্টে তারা টাকা রেখেছে সেই ভল্টে তারেক ও মামুনের আই কন্টাক্ট ছাড়া সেই টাকা বের করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, তারেক রহমান তার নিজের মামা এবং মামার বন্ধুদের প্যাঁদানি খেয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছে। আর মামুন এখন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কারাগারে। শুধু তারেক আর মামুন নয়, বিভিন্ন দেশে বিএনপির অনেক নেতার টাকার হদিস পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। এই কারণে এই মুহূর্তে আমরা এটি সংসদে উপস্থাপন করতে পারছি না। তবে অচিরেই তারেক, মামুনসহ বিএনপির নেতাদের পাচার করা টাকার তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এই টাকা অবশ্যই ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করা হবে।

আলোচনায় অন্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরী, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ডা. প্রাণগোপাল দত্ত, জাতীয় পর্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

Groundwater crisis deepens in coastal Chattogram

Tube wells run dry as salinity and iron contamination rise far above safe limits, leaving residents struggling for drinkable water

26m ago