‘রাজনৈতিক অশ্লীলতার’ অভিযোগে আদর্শকে বইমেলায় স্টল দেওয়া হয়নি

বাংলা একাডেমি। ছবি: সংগৃহীত

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩ এ আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেছেন, 'আদর্শের কিছু বইয়ে অশ্লীল ভাষায় রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা বলা হয়েছে। এটা ঠিক না। এমন হলে তো আমরা স্টল দিতে পারি না।'

কোন কোন বইয়ের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেছে জানতে চাইলে আজ বুধবার তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না।'

অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমি গত বৃহস্পতিবার স্টল বরাদ্দের তালিকা দেয়। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই তালিকায় আদর্শ প্রকাশনীর নাম না থাকার অভিযোগ করেন আদর্শ প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। সেখানে তিনি বলেন, 'বাংলা একাডেমির অভিযোগ আদর্শ থেকে প্রকাশিত ৩টি বইয়ে ভিন্নমতের বক্তব্য রয়েছে। একারণে তারা স্টল স্থগিত করেছে। আদর্শ এ যাবত প্রায় ৬০০ বই প্রকাশ করেছে। আমরা মনে করি, তার মধ্যে ৩টি বইয়ের (০.৫%) কারণে স্টল না দেয়া অন্যায়।'

এ পর্যায়ে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন পরিসরে।

তবে ভিন্ন মত প্রকাশের কারণে আদর্শকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি- এমন বক্তব্য মানতে নারাজ মেলা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, 'না না, এমন হতে পারে না। আমরা দেশ জাতির কথা বিবেচনা করি। স্টল দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের নীতিমালা অনুসরণ করি।'

এ বিষয়ে আদর্শ প্রকাশনীর সিইও মাহবুবুর রহমান আজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেলায় স্টল বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ করে আবেদন করেছি। কিন্তু কেন আমাকে স্টল দেওয়া হয়নি তা জানানো হয়নি। তা অফিসিয়ালি জানতে ২ বার মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেও জবাব পাইনি।'

এই প্রকাশকের ধারণা- আদর্শ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের 'অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা', জিয়া হাসানের 'উন্নয়ন বিভ্রম' ও ফাহাম আবদুস সালামের 'বাঙালি মিডিওক্রিটির সন্ধানে' শীর্ষক বইগুলোর জন্যই তাকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদর্শ প্রকাশনীর এখন কিছু বলতে পারছি না। এই নিয়ে আমাদের মিটিং হবে। তারপর বলা যাবে।'

এছাড়া কখন এই মিটিং হবে সে সম্পর্কেও কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English
Saint Martin's Island tourism

Tourists welcome, but Saint Martin’s remains deserted

Saint Martin’s Island officially opened for tourism at the start of November. Yet, there is not a single holidaymaker in sight as tour operators await permission to ferry visitors between the island and the mainland.

17h ago