বাংলাদেশ

খাটের নিচে ৭ দিন পড়ে ছিল নারীর মরদেহ, মা-বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, আনুমানিক ৭ দিন আগে ঝুমার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালেও এ সময়টা তার মা-বোন ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। রান্না করে খেতেনও তারা। 
সকালে ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকাবাসী ৯৯৯ এ ফোন করে খবর দেয়। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মিয়াপাড়া এলাকার একটি বাসার খাটের নিচ থেকে ঝুমা আক্তার (৩৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সকালে ওই বাসা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকাবাসী ৯৯৯ এ ফোন করে খবর দেয়। পরে সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, আনুমানিক ৭ দিন আগে ঝুমার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালেও এ সময়টা তার মা-বোন ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। রান্না করে খেতেনও তারা।  এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃত ঝুমার মা মনোয়ারা বেগম (৫৫) ও ছোট বোন সুমা আক্তারকে (২৭) আটক করা হয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, ঝুমা আক্তার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কন্সেটেবল মৃত আব্দুল আহাদ তালুকদারের বড় মেয়ে। ৪ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। বাবার ৪ চালা টিনের বাড়িতে মা ও ১ বোনকে থাকতেন তিনি। বাকি বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের ভাই পুলিশে চাকরি করেন।

আজ ঝুমার ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ওই বাড়ির একটি খাটের নিচ থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, 'মরদেহটি আনুমানিক ৭ দিনের পুরনো। গন্ধ বের হওয়ার পরও ঝুমার মা ও বোন ওই বাড়িতে বসবাস করতেন, রান্না করতেন ও খাবার খেতেন। পুলিশ যখন বাড়ির ওই কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করে তখন ঝুমার মা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।'

ওসি এম এ জলিল  বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঝুমার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এ ব্যাপারে মৃতের ভাই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ওসি।  

Comments